আদৌ কী এবারে দুর্গাপূজা হবে? তা নিয়েই বাড়ছে সংশয় তাদের মধ্যে। মূলত করোনাকালে কলকাতার দুর্গাপুজায় যে প্রভাব পড়বে তা অনেক আগেই বোঝা গিয়েছিল।
একত্রে বহু মানুষের জমায়েতের কারণে ভারতের শীর্ষ আদালত রথযাত্রা বন্ধের আদেশ দেয়। সেই একই বিষয় তুলে এবারে পুরোপুরি দুর্গাপূজা বন্ধ না করে দেয়, তাই নিয়ে কপালে ভাঁজ পড়েছে পূজা উদযাপনকারী থেকে শুরু করে মৃৎশিল্পীদের মধ্যে।
দক্ষিণ কলকাতার বড় পূজার মধ্যে অন্যতম দুর্গাপূজার আয়োজক নাকতলা উদয়ন সংঘের কর্মকর্তা বাপ্পাদিত্যর জানান, এতোদিন ভয় ছিল, কীভাবে পূজা করব। এবারে রথযাত্রা বন্ধ হয়ে যাবার পর চিন্তা একটাই কলকাতায় দুর্গাপূজা বাতিল হয়ে যাবে না তো?
তাদের মতে যদি বাতিল হয় তাহলে এখনই জানিয়ে দিক সরকার বা আদালত। কারণ দুর্গাপূজা অনেক বড় আয়োজনে করতে হয়। সবকিছু হয়ে যাবার পর হঠাৎ করে বাতিল হয়ে গেলে বিপদে পড়বো।
বস্তুত কোনও অঞ্চলের প্রধান উৎসব মানে সামাজিক ও ধর্মীয়ভাবের পাশাপাশি আর্থিকভাবে সচ্ছলতা ফিরে আসে অঞ্চলটিতে। আর সেখানে দুর্গাপূজার মতো আয়োজন, যেখানে মৃৎশিল্পীদের প্রতিমা, মণ্ডপসজ্জাসহ নানা বিষয়
আর্থিকভাবে জড়িয়ে থাকে। সেখানে সবরকম আয়োজনের পর হঠাৎ করে উৎসব বন্ধ হয়ে যায় তাহলে সবদিক দিয়েই ক্ষতি।
এমনিতেই এ বছর করোনার জন্য আর্থিক সচ্ছলতার অভাবে ছোট ও মাঝারিমানের বহু পূজা প্রায় বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। যার জেরে প্রতিমার বরাত মেলেনি মৃৎশিল্পীদের। এবার যদি পুরো পূজাই বাতিল হয় তাহলে আর্থিকভাবে সবচেয়ে ক্ষতি হবে মৃৎশিল্পীদের।
কলকাতার সবচেয়ে বড় মৃৎশিল্পীদের বাস উত্তর কলকাতার কুমারটুলি। মূলত শহরের বড় পূজার প্রতিমা গড়ার কাজ তারাই পেয়ে থাকেন। ইতোমধ্যে তাদের প্রতিমা গড়ার কাজ শুরু হয়ে গেছে।
রথযাত্রা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তাদের আশঙ্কা, এবারের দুর্গাপূজা বন্ধ হয়ে যাবে না তো? তাহলে কীভাবে গোটা বছর বিনা আয়ে চলবে তা ভাবতেই পারছেন না মৃৎশিল্পীরা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২০
ভিএস/আরবি/