পাশাপাশি, এমন মর্মান্তিক ঘটনায় ওই থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিনয় তিওয়ারিকে সাসপেন্ড করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। পুলিশের অভিযানে যাওয়ার খবর ওই কর্মকর্তাই আগেভাগেই সন্ত্রাসীকে জানিয়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয় বিকাশ দুবেকের মা সরলা দেবী বলেছেন, ‘আমার ছেলে আত্মসমর্পণ না করলে পুলিশ ওকে এনকাউন্টারে মেরে ফেলুক। এমনকি, গ্রেফতার করতে পারলেও ওকে গুলি করে মারা হোক। পুলিশকর্মীদের খুন করে খুব খারাপ কাজ করেছে। ওর কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত। ’
এরই মধ্যে সন্ত্রাসী বিকাশ দুবে ও তার সহযোগিদের গ্রেফতারে রাজ্য পুলিশের ২৫টির বেশি দল গঠন করা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। খোঁজ চলছে অন্য রাজ্যেও। চলছে ৫০০টির বেশি মোবাইল ফোনে স্ক্যানিং এবং নজরদারি। কুখ্যাত ওই সন্ত্রাসী সম্পর্কে তথ্য দিতে পারলে ৫০ হাজার রুপি নগদ পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তথ্য প্রদানকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে।
আহত সাত পুলিশ সদস্যকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তাদের অবস্থা স্থিতিশীল। এছাড়া নিহত আর পুলিশ সদস্যর পরিবারকে এক কোটি রুপি আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
কুখ্যাত এ সন্ত্রাসীকে ধরতে অভিযান চালায় উত্তরপ্রদেশের পুলিশের সদস্যরা। এসময় ওই সন্ত্রাসী এবং তার সহযোগিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে আট পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে একজন ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট দেবেন্দ্র কুমার মিশ্রা। নিহত বাকি সাতজনের মধ্যে তিনজন সাব ইনস্পেক্টর এবং চারজন কনস্টেবল।
বিকাশ দুবে নামে ওই সন্ত্রাসীকে গ্রেফতারে তিনটি পুলিশ স্টেশন থেকে পুলিশ সদস্যরা অভিযানে নেমেছিলেন ওইদিন। রাজনৈতিক মদদপুষ্ট এ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে ৬০টির মতো অভিযোগ রয়েছে। একাধিক হত্যাকাণ্ডে তার নাম আসার পর এ অভিযান চালানো হয়।
** সন্ত্রাসী ধরতে গিয়ে উল্টো খুন ভারতের ৮ পুলিশ
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০২০
ভিএস/ওএইচ/