এদিকে, লাদাখে চীনা অনুপ্রবেশ নিয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন কংগ্রেস নেতারা। কারণ ১৮ জুন প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন, ‘ভারতীয় ভূখণ্ড ও কোনো ভারতীয় সেনাচৌকি দখল করেনি চীনাবাহিনী।
প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে কংগ্রেস নেতারা বলেন, ‘অবিলম্বে এই মন্তব্যের জন্য ভারতবাসীর কাছে ক্ষমা চান। ’
রাহুল গান্ধীর টুইটের পর মোদীকে নিশানা করে কংগ্রেসের মুখপাত্র পবন খেরা বলেন, ‘এই সুযোগকে কাজে লাগানো উচিত প্রধানমন্ত্রীর। জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে দেশের কাছে ক্ষমা চান। বলুন যে হ্যাঁ সেদিন আমি ভুল বলেছি, আমি বিভ্রান্ত করেছি দেশবাসীকে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সাহসী সেনা সদস্যরা, চীনাবাহিনীকে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা খুবই খুশি যে আমরা সফল হয়েছি। ভারতীয় সেনাকে নিয়ে আমরা গর্বিত। সেনার দক্ষতা নিয়ে আমাদের কখনই কোনো সন্দেহ ছিল না। তারা অতীতেও করে দেখিয়েছেন। এজন্য পাকিস্তান বা চীন কারও থেকে কোনো সার্টিফিকেটের প্রয়োজন নেই। ’
গালওয়ান উপত্যকা থেকে ভারত-চীনের সেনা পেছনোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আপাতত পেট্রোলিং পয়েন্ট-১৪ থেকে দুই দেশের সেনাই কিছুটা পিছিয়েছে। একই প্রক্রিয়া হট স্প্রিং এরিয়াতেও পেট্রোলিং পয়েন্ট-১৫ ও ১৭-এ তে হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে, পূর্ব লাদাখের প্যাংগং হ্রদের উত্তরে ও দেপসাংয়ে পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি।
তবে পুরো প্রক্রিয়াটি এখনও জারি রয়েছে এবং দু’তরফেই সেনা কতটা করে সরেছে তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে জানা যায়, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর প্রতিরক্ষা জন্য যে নির্মাণ চীন করেছিল তা সরানো হয়েছে। আপাতত পুরো এলাকা সাফ করা হয়েছে। তাদের সেনা সরাতে বেশ কয়েকটি গাড়ি ওই এলাকায় আনা হয়েছে। এরপরই দুই তরফে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়াটি শুরু হয়েছে। ’
গালওয়ানের পেট্রোলিং পয়েন্ট-১৪ তে জোর করে চীনা সেনাবাহিনী ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করে বলে অভিযোগ করে ভারতীয় সেনাসদস্যরা। চীনাসেনারা সীমান্ত বরাবর বেশ কিছু নির্মাণও গড়ে তোলে। যা ভারতী সেনারা ভাঙতে গেলে দুই দেশের সেনা সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। এর জেরে ১৫ জুন গালওয়ানের পেট্রোলিং পয়েন্ট-১৪’র কাছেই চীনা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়েছিল। তারপর থেকেই পেট্রোলিং পয়েন্ট-১৪তে ঘাঁটি গড়তে শুরু করে চীনাবাহিনী।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০২০
ভিএস/এনটি