কলকাতা: স্বাধীনতা সংগ্রাম ও স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ পুনর্গঠনে বিশেষ অবদান রাখা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করলো কলকাতার বাংলাদেশ মিশন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার (৯ আগস্ট) স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে কর্মসূচিতে অংশ নেন উপ-দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
মিশনের বাংলাদেশ গ্যালারিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গমাতার ছবিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন মিশন প্রধান তৌফিক হাসান। এরপর ‘বঙ্গবন্ধুর ছায়াসঙ্গী বঙ্গমাতা’ শিরোনামে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। এরপর রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন কনস্যুলার বশির উদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন প্রথম সচিব রাজনৈতিক সানজিদা জেসমিন।
মিশন প্রধান তৌফিক হাসান তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনে যার অবদান সবচেয়ে বেশি ছিল তিনি হলেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে ৩৬ বার ও কারাগারের রোজ নামচায় ৭০ বার বঙ্গমাতার নাম উল্লেখ করেছেন বঙ্গবন্ধু। এ বই দুটি পড়লেই বোঝা যায় বঙ্গমাতা ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমানের চালিকাশক্তি।
তৌফিক হাসান আরও বলেন, জাতির পিতার ৪০ বছরের দাম্পত্য জীবনে বেগম মুজিব ছিলেন ছায়াসঙ্গী। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণার উৎস। তিনি সারাজীবন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছায়ার মতো অবস্থান করেছেন। বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনের নিভৃত সহচর হিসেবে পাশে থেকে বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন ও সহযোগিতা করেছেন।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মিশনের দ্বিতীয় সচিব শেখ শাফিনুল হক, প্রথম সচিব বাণিজ্যিক মো. শামসুল আরিফ, দূতালয় প্রধান তথা মিনিস্টার রাজনৈতিক জামাল হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রথম সচিব শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি।
অনুষ্ঠানের শেষে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতাসহ পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০২০
ভিএস/এমজেএফ