ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

কলকাতায় বৃষ্টি আছে, ইলিশ নেই!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২০
কলকাতায় বৃষ্টি আছে, ইলিশ নেই!

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে নিম্নচাপের জেরে টানা ছ’দিন ধরে চলছে বৃষ্টি। তবু ভরা বর্ষাতেও বাঙালির পাতে ইলিশের দেখা নেই।

এবারের মৌসুমে অনেক কম মাছ ধরতে পেরেছেন মৎস্যজীবীরা। আর যেটুকু ধরা পড়েছে বাজারে তার চড়া দাম।  

পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৮ সালে রাজ্যের মৎস্যজীবীদের জালে ৩৩ হাজার টন মাছ উঠেছিল। গতবছর তা কমে ধরা পড়েছিল প্রায় ১৯ হাজার টন। কিন্তু এবার তার ধারের কাছেও পৌঁছানো যায়নি এখনো। এখন পর্যন্ত মৎস্যজীবীরা ১৫শ টন ইলিশ ধরে আনতে পেরেছেন। ফলে বেশ চিন্তায় রয়েছেন কয়েক হাজার মৎস্যজীবী।

অথচ মৎস্য বিশেজ্ঞরা পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, চলমান লকডাউনে আবহাওয়ার অনেকটাই পরিবর্তন ঘটেছে এবং রাজ্যে নিষিদ্ধ সময়টায় কেউ ইলিশ ধরেনি। ফলে এবারে বাঙালি বড় সাইজের ইলিশ পাবে এবং দামও সাধ্যের মধ্যে থাকবে। কিন্তু অঙ্ক মেলেনি।
 
তাদের মতে অঙ্ক ঠিকই ছিল, কিন্তু আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা একটা বড় কারণ। চলতি বছরে পরপর পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ও নিম্নচাপে সৃষ্টি হয়েছে বঙ্গোপসাগরে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে মৎস্যজীবীরা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার সরকারি নিষেধাজ্ঞা ছিল। এছাড়া লকডাউনের সময় যে অনুকূল পরিবেশ ছিল, তা শিথিল লকডাউনে একেবারেই বিপরীত।

তবে এবার যেটুকু মাছ উঠেছে, তার ওজন নিয়ে সন্তুষ্টি থাকলেও পরিমাণ কম হওয়ায় হতাশ মৎস্যজীবীরা। সমুদ্র থেকে মোহনায় যে মাছের ঝাঁক আসতো, সেটার দেখা নেই এবার। বিশেষজ্ঞের মতে, আবহাওয়ার সঙ্গে লড়াই সম্ভব নয়। ইলিশের ঝাঁক হয়তো আসছে, কিন্তু ট্রলারগুলি সমুদ্রে যেতে পারছে না। হয়তো মাছের ঝাঁক এসে আবার ফিরেও যাচ্ছে!

দক্ষিণ ২৪ পরগনার ‘কাকদ্বীপ ফিশারমেন ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’ এর সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, এবার যখনই মাছ ধরার উপযুক্ত সময় এসেছে, তখনই আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা দেখা দিয়েছে। খারাপ আবহাওয়ার জন্য চলতি মাসের ১৩ তারিখ থেকে সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে পারেননি মৎস্যজীবীরা। ইলিশ ধরার মৌসুম আর এক মাস আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে বাঙালির এবার ইলিশ খাওয়া ভুলে যেতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২০
ভিএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।