কলকাতা: জল-স্থল-অন্তরীক্ষ, এমনকি ডুবোজাহাজ থেকেও শত্রুপক্ষকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে, শব্দের থেকেও দ্রুতগতি সম্পন্ন ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে তৈরি ক্রুজ মিসাইল— ব্রহ্মস। এই মিসাইল কিনতে বহুদিন ধরেই আগ্রহ দেখিয়ে আসছিল পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি।
কিন্তু রাশিয়া এতদিন ভারতকে ব্রহ্মস মিসাইল বেচার অনুমতি দেয়নি। তাই চাহিদা থাকলেও অন্য দেশকে ব্রহ্মস বিক্রি করতে পারেনি ভারত। অবশেষে ভারতকে ব্রহ্মস রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে রাশিয়া।
১৯৯৮ সালে রাশিয়ান ফেডারেশনের এনপিও মাশিনোস্ট্রোয়েনিয়া এবং ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (ডিআরডিও) মধ্যে একটি যৌথ উদ্যোগে নির্মিত হয় ব্রহ্মস মিসাইল। এ দুই প্রতিষ্ঠান মিলে গঠন করে ব্রহ্মস অ্যারোস্পেস প্রাইভেট লিমিটেড। উভয় দেশের চুক্তি অনুযায়ী, দুই দেশের মধ্যে কোন দেশ একটিও ব্রহ্মস রপ্তানি করতে গেলে একে অপরের অনুমতি নিতে হবে।
ক্রেতা যদি অপর দেশের প্রতিবেশী হয় তাহলেও এই ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি করা যাবে না, অপরের অনুমতি ছাড়া। ভারত ইতোমধ্যে তার প্রতিরক্ষার তিন শাখাতেই ব্রহ্মস মিসাইল অন্তর্ভুক্ত করেছে।
২০১৮ সালের আগস্টে ব্রহ্মস কিনতে চেয়ে ভারতের কাছে আবেদন করেছিল ভিয়েতনাম। রাশিয়া অনুমতি দেয়নি। রাশিয়ার কাছ থেকে ব্রহ্মস বিক্রির ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত মিলেছে। ইতোমধ্যে ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন্স, ব্রাজিল, চিলি, দক্ষিণ কোরিয়া, আলজেরিয়া, গ্রিস, দক্ষিণ আফ্রিকা, মিশর এবং বুলগেরিয়া ব্রহ্মস কেনার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে।
৭ সেপ্টেম্বর ভারতে নিযুক্ত রাশিয়ার উপ-রাষ্ট্রদূত রোমান বুবশকিন ভার্চ্যুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, খুব শিগগিরই ব্রহ্মস রপ্তানির ছাড়পত্র দেওয়া হবে। ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র রপ্তানির প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে ভারত। তবে ব্রহ্মস অ্যারোস্পেস প্রাইভেট লিমিটেডের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২০
ভিএস/এমজেএফ