কলকাতা: বাঙালি বেড়াতে ভালোবাসেন। তাই লকডাউন উঠে যাওয়ায় ভ্রমণ পিপাসু বাঙালি ধীরে ধীরে ঘর ছেড়ে বের হতে শুরু করেছেন।
এদিকে, চলমান করোনা ভাইরাস মহামারিতে বিপাকে পর্যটনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত এক কোটিরও বেশি মানুষ। তাদের সহায়তায় এবার তৎপর মমতার সরকার।
১৭ সেপ্টেম্বর মহালয়া অর্থাৎ পুজার ঢাকে কাঠি পড়ে গেলো। যদিও এ প্রথম মহালয়ার একমাস পর দুর্গাপূজা। তবে পশ্চিমবঙ্গের নিরিখে দেবী পক্ষের সূচনা মানেই পূজার মৌসুম। আর তাতেই উৎসবমুখর বাঙালিকে ঘর থেকে বের করতে পর্যটনের হাল ফেরাতে কোমর বেঁধে নেমেছে রাজ্য সরকার।
পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করতে এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে হাতিয়ার বানিয়েছে রাজ্য সরকারের পর্যটন দপ্তর। পশ্চিমবঙ্গে নানা পর্যটন কেন্দ্র সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ বাড়াতে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবে ভিডিও ক্লিপস দিতে শুরু করেছে। জানানো হচ্ছে কোভিড মোকাবিলায় কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে পর্যটন দপ্তর এবং কী কী নিয়ম মেনে কতদিনের জন্য দিব্যি ঘুরে আসা যায়।
ই্তোমধ্যে বিভিন্ন জেলায় নতুন করে ১৩টি ট্যুরিস্ট লজ খুলেছে, যার তথ্য বহু পর্যটকের কাছে নেই। অনেকে আবার ভয় পাচ্ছেন করোনা ভাইরাস নিয়ে। পূজার আগে সেই আতঙ্ক কাটাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে বেছে নিয়েছে রাজ্য পর্যটন দপ্তর। লজগুলোর সুরক্ষা ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যবিধি ঢেলে সাজানো হয়েছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে ঘরে সেকথা পৌঁছে দিতে চায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
এছাড়া পর্যটনকে ফের চাঙ্গা করতে নানা ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকার। নতুন করে সরকারি টুরিস্ট লজগুলো সংস্কার করা হয়েছে। সব ট্যুরিস্ট লজ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিধি অনুযায়ী চালু হয়েছে। ট্যুরিস্টদের জন্য থাকছে নতুন কিট। রাজ্যের প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্র সম্পর্কে আলাদা ভিডিও ক্লিপ ছাড়া হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পাশাপাশি হোটেল মালিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে সরকার।
রাজ্য পরিবহন সচিবের আশা, সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করার কারণ তা দেশের গণ্ডি পার করে সহজেই পৌঁছে যাবে বিদেশে। ফলে রাজ্যের পর্যটকদের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকরাও আগ্রহ দেখাবেন। এতে অক্টোবর থেকে আমূল পরিবর্তন আসবে পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২০
ভিএস/এফএম