কলকাতা: কলকাতাসহ গোটা ভারতজুড়ে ফের বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। গতবছরও এই সময়ে পেঁয়াজের দাম একশো ছুঁয়েছিল।
বর্তমানে খুচরা বাজারে দাম ছুঁয়েছে ৪০ রুপি। এক মাসের মধ্যে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ রুপি দাম বেড়েছে খুচরা বাজারে। অবশ্য ভিনরাজ্য বিশেষ করে মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটকসহ কয়েকটি রাজ্য থেকে পেঁয়াজের জোগান বাজারে আছে।
তবে এবারও বেশি বৃষ্টির কারণে ওইসব রাজ্যের মাঠ ও সংরক্ষণে থাকা পেঁয়াজের ক্ষতির কারণে দাম বাড়া ছাড়াও আরও একটি কারণ আছে বলে মনে করছেন পাইকাররা। বিপুল পরিমাণে পেঁয়াজ বিদেশে, বিশেষ করে বাংলাদেশে রপ্তানি হচ্ছে। ফলে জোগানের তুলনায় চাহিদা বেশি হওয়ায় দাম বাড়ছে মনে করছেন কলকাতার ব্যবসায়ীরা।
মহারাষ্ট্র থেকে পাঠানো পেঁয়াজ পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে যায়। ভারতের পেঁয়াজের একটা বড় ক্রেতা বাংলাদেশ। গতবছর পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে কেন্দ্রীয় সরকার গত বছরের সেপ্টেম্বরের শেষে বিদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করে।
ওই নিষোধাজ্ঞার পরে বাংলাদেশ, এমনকী ভারতেও পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছিল।
এরপর গতবছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে নতুন পেঁয়াজ বাজরে আসায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিল সরকার। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার গত মার্চ মাসে রপ্তানির উপর নিষোধাজ্ঞা তুলে নেয়। ফের বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি শুরু হয়ে যায়।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের টাস্কফোর্সের সদস্য কমল দে জানান, মহারাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে খবর নিয়ে রাজ্য সরকার জানতে পেরেছে সেখান থেকে বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজ যাচ্ছে। যেহেতু রপ্তানির বিষয়টা কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রণ করে তাই রাজ্যের পক্ষে এ ব্যাপারে কিছু করার নেই।
সাধারণত মাস হিসেবে যে পরিমাণ পেঁয়াজ যায় বাংলাদেশে তার চেয়েও বেশি পরিমাণ পেঁয়াজ যাচ্ছে বলে চিন্তিত কমল দে’রা।
ভারত থেকে বাংলাদেশ ছাড়া কিছু পেঁয়াজ রপ্তানি হয় শ্রীলঙ্কা ও সৌদি আরবে। অবশ্য সৌদিতে খুব ভালো মানের দামি পেঁয়াজ যায়। সাধারণত ভারতেও সেই পেঁয়াজ ব্যবহার হয় না। কয়েকটি বড় মানের হোটেল ও পরিবারে সেই পেঁয়াজ যায়। এ তথ্য জানান টাস্ক ফোর্স সদস্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২০
ভিএস/এএ