কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে রোগীর প্যাথলজিক্যাল রিপোর্টে নতুন নিয়ম চালু করলো রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন ডব্লিউবিসিইআরসি। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে কোভিড-১৯ পরীক্ষায় বেশ কয়েকটি প্যাথলিজক্যাল সেন্টারের বিরুদ্ধে ভুল রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
এই অব্যবস্থাপনা রুখতে গোটা প্যাথলজির রিপোর্ট সিস্টেমের ওপর কড়া নির্দেশনা জারি করেছে ডব্লিউবিসিইআরসি।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্যাথলিজক্যাল সেন্টারের ভুল রিপোর্টের জেরে কোনো রোগী যদি শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন বা কোনো শারীরিক পরীক্ষা করানোর সময় যদি রোগী আঘাত পান, তাহলে রোগীর চিকিৎসার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিতে হবে সংশ্লিষ্ট ল্যাবরেটরি বা প্যাথলিজক্যাল সেন্টারকে। পাশাপাশি পরীক্ষা করানোর জন্য যে পরিমাণ অর্থ নেওয়া হয়েছে তার পুরোটাই ফেরত দিতে হবে রোগীকে।
প্রতিটি রিপোর্ট যথাযথভাবে যাচাই করে তাতে সরাসরি স্বাক্ষর করতে হবে প্যাথলজিস্ট বা ডাক্তারকে। ডিজিটাল স্বাক্ষর আর চলবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন।
পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সাধারণত রিপোর্টে দুই ধরনের ভুল হয়ে থাকে। এক. টাইপোগ্রাফিক্যাল, দুই. পরীক্ষা সংক্রান্ত ভুল। দেখা গেছে টাইপোগ্রাফিক্যাল ভুল তিন ধরনের হয়। সংখ্যা সংক্রান্ত গণ্ডগোল। যেখানে পরীক্ষা ঠিক হয়েছে কিন্তু ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সেই রিপোর্ট লেখার সময় কোনো সংখ্যা টাইপ করতে গিয়ে ভুল করে ফেলেছেন। সব দায় নিতে হবে সংশ্লিষ্ট ল্যাবকেই।
‘এছাড়া পরীক্ষা সংক্রান্ত ভুল হলে সেই ভুল রিপোর্টের ভিত্তিতে চিকিৎসা হয়ে তাতে যদি রোগীর ক্ষতি হয় অথবা রিপোর্টের জেরে রোগী যদি কোনোভাবে আঘাত পায় বা মৃত্যু হয় তবে তার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিতে হবে সংশ্লিষ্ট প্যাথলিজক্যাল সেন্টারকে। ফলে কোনো রোগীকে সঠিক রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে কিনা এখন থেকে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। এমনকি রিপোর্টে স্বাক্ষর করার সময় সাবধান থাকতে হবে প্যাথলজিস্টকে। ’
ল্যাবরেটরি বা প্যাথলিজক্যাল সেন্টারের ভুল রিপোর্টের জেরে সংশ্লিষ্ট রোগীর কতটা ক্ষতি হতে পারে বা হয়েছে তার ওপর নির্ভর করে জরিমানার পরিমাণ নির্ধারণ করবে ডব্লিউবিসিইআরসি।
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২০
ভিএস/এমজেএফ