কলকাতা: চারদিনের সফরে কলকাতায় এসেছেন দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান। সোমবার কলকাতায় পৌঁছে মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সকালে প্রথমেই যান বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত বেকার হোস্টেলে।
সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে কর্মসূচি শুরু করেন হাইকমিশনার। এরপর সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন পশ্চিমবঙ্গের গভর্নর জগদীপ ধনকরের সঙ্গে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে হাইকমিশনার বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান রাজ্যের গর্ভনরকে। ধন্যবাদ জানিয় গভর্নর জগদীপ ধনকর জানান, সময় সুযোগ হলে নিশ্চয়ই তিনি প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ সফর করবেন।
পশ্চিমবঙ্গের গভর্নর জগদীপ ধনকরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান
বেকার হোস্টেল ঘুরে দেখার পর হাইকমিশনার ইমরান বলেন, হাইকমিশনের দায়িত্ব নেওয়ার পরই আমার ইচ্ছে ছিল বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত কক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করব। কিন্তু কোভিডের কারণে এতদিন আসতে পারিনি। এবার সুযোগ পেয়েছি তাই বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত হোস্টেলে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আমার কলকাতা সফর শুরু করলাম।
তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে যে নিবিড় সম্পর্ক বঙ্গবন্ধু তৈরি করে গেছেন, তার সুযোগ্যা কন্যার নেতৃত্বে সেই সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। এই সম্পর্ক সরকারি কর্মী হিসেবে আমরা আমাদের সাধ্য মতো আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাব।
হাইকমিশনার আরো বলেন, এই সফরে গেদে-দর্শনা, বেনাপোল-পেট্রাপোল ও ভোমরা-ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তে যাব। সীমান্তগুলো আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে, অনেক পরিবর্তন এসেছে। এসব সীমান্ত ঘুরে দেখব এবং আরো অভিজ্ঞতা নেওয়ার চেষ্টা করব।
মোহাম্মদ ইমরান বলেন, অনেকদিন বাদে কলকাতায় এলাম, কলকাতায় অনেক পরিবর্তন হয়েছে। যখন আমি কলকাতার দায়িত্বে ছিলাম তখন যে কলকাতা দেখেছিলাম তার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। কাজ শেষ করে সময় থাকলে একবার কলকাতা ঘুরব।
সস্ত্রীক সফররত হাইকমিশনারের সফরসঙ্গী হিসেবে আরো আছেন কাউন্সিলর শায়েদ বিন আজিজ। উপস্থিত ছিলেন কলকাতার উপ-হাইকমিশন প্রধান তৌফিক হাসান ও দূতালয় প্রধান জামাল হোসেন।
২০০৫ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত কলকাতায় উপ-হাইকমিশন প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছিলেন মোহাম্মদ ইমরান। দিল্লির দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই তার প্রথম কলকাতা সফর।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২০
ভিএস/এমজেএফ