আগরতলা (ত্রিপুরা): পর পর অকাল বর্ষণে এ বছর শীতকালীন সবজির মৌসুমের শুরুতেই ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা। অকাল বৃষ্টির প্রভাব ইতোমধ্যেই দেখা দিয়েছে সবজির বাজারে।
গত কিছুদিনে পরপর বেশ কয়েক দফায় বৃষ্টি হয়েছে ত্রিপুরা রাজ্য জুড়ে। এই বৃষ্টির ফলে শীতকালীন সবজি চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে অভিমত চাষিদের। রাজধানী আগরতলার পার্শ্ববর্তী লঙ্কামুড়া, সানমুড়া, কালিকাপুর ও আশেপাশের এলাকায় প্রচুর পরিমাণ মৌসুমি সবজি চাষ হয়ে থাকে। লঙ্কামুরা এলাকার চাষিরা জানান, শীতকালীন সবজি যেমন লাল শাক, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, লঙ্কা, ধনেপাতাসহ অন্যান্য সব সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
মৌসুমি সবজির পাশাপাশি এই অকাল বৃষ্টি আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। পশ্চিম জেলার অন্তর্গত এলাকায় প্রচুর পরিমাণ আমন ধান মাটিতে মিশে গেছে বৃষ্টির কারণে। চাষিদের বক্তব্য এই ধান ক্ষেত থেকে ফসল প্রায় পাওয়া যাবে না কারণ বৃষ্টির পানিতে অধিকাংশ গাছের গোড়া পচে নষ্ট হয়ে যাবে। চাষিরা আরও জানান, এই ক্ষতি পূরণ করা তাদের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়বে।
অকাল বৃষ্টির ফলে সবজি চাষের যে ক্ষতি হয়েছে তা প্রভাব ইতোমধ্যে বাজারে দেখা যাচ্ছে। মৌসুমি সবজি আকাশছোঁয়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে রাজধানী আগরতলার বিভিন্ন বাজারে। রাজধানীর লেক চৌমুহনী বাজারে গিয়ে দেখা যায় সিম প্রতি কেজি ৩০০ রুপি, লাল শাখ প্রতি মুঠা ১০ রুপি, ফুলকপি প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৩০ রুপি, বাঁধাকপি ১০০ থেকে ৭০ রুপি প্রতি কেজি, শশা ১০০ থেকে ৮০ রুপি প্রতি কেজি, ঢেঁড়স ১০০ রুপি প্রতি কেজি, চার থেকে পাঁচটি ডাটা দিয়ে এক-একটি আটি তৈরি করা হয়েছে, প্রতি আটি ১০ রুপি, টমাটো ১০০ রুপি প্রতি কেজি, পটল ১০০ থেকে ৮০ রুপি প্রতি কেজি, ছোট আকারের স্থানীয় ক্ষেতের মূলা ৪টা ২০ রুপি, মেঘালয় আমদানি করা মূলা প্রতি কেজি ১০০ থেকে ৯০ রুপি প্রতি কেজি, লাউ ৬০ থেকে ৪০ রুপি প্রতিটি আকার অনুসারে, বরবটি ১০০ রুপি প্রতি কেজি, উচ্ছে ১৫০ রুপি প্রতি কেজি, পটল ১০০ থেকে ৮০ রুপি প্রতি কেজি, গাঁজর ৩০০ রুপি প্রতি কেজি, ধনেপাতা ৪০ গ্রাম ৫০ রুপি, লেবু ২ থেকে ৩টি আকার অনুসারে ২০ রুপি, বেগুন ৮০ রুপি প্রতি কেজি, পেঁপে ৪ রুপি প্রতি কেজি। অন্যান্য সবজির দামও একইভাবে আকাশছোঁয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২০
এসসিএন/এমআরএ