আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরার দক্ষিণ জেলার সাব্রুম এলাকায় গড়ে উঠছে স্পেশাল ইকোনমিক জোন। বর্তমানে একটি নির্মাণাধীন।
ইন্দো-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (আইবিসিসিআই) ত্রিপুরা চ্যাপটারের সম্পাদক সুজিত রায় বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশের শিল্পপতিরা ত্রিপুরা রাজ্যে শিল্প-কারখানা স্থাপনের ক্ষেত্রে কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে। এই জটিলতা কাটিয়ে তারা যেন সুষ্ঠুভাবে কারখানা স্থাপন করতে পারেন সে বিষয়ে ভারত সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আইবিসিসিআই ত্রিপুরা চ্যাপ্টার কথা বলছে।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর কর্মকর্তারা আশ্বস্ত করেছেন বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ত্রিপুরার প্রথম ইকোনমিক জোনগুলিতে শিল্প স্থাপনে আগ্রহী বাংলাদেশের শিল্পপতিদের সব ধরনের সমস্যার সমাধান করে দেওয়া হবে। বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে তারা সম্প্রতি সাব্রুম এলাকার স্পেশাল ইকোনমিক জোন সরেজমিনে ঘুরে দেখেছেন।
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) আগরতলার বাংলাদেশ সরকারি হাইকমিশনের সহকারী হাইকমিশনারের নেতৃত্বে একটি টিম সাব্রুমের স্পেশাল ইকোনমিক জোন পরিদর্শন করতে যাবেন বলেও জানান তিনি।
সুজিত রায় বলেন, বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশ যে দু’জন প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন তারা উভয় দেশের বাণিজ্যিক এবং মৈত্রী সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী। তাই নতুন প্রকল্প স্থাপনের কোনো সমস্যা হবে না। তাছাড়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবেরও সুসম্পর্ক রয়েছে, যা উভয় দেশের মধ্যে শিল্পসহ অন্য কাজে বিশেষ সুবিধা দেবে।
স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বাংলাদেশের শিল্পপতিদের শিল্প স্থাপন করার পাশাপাশি ত্রিপুরার উৎপাদিত চা বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশে রপ্তানি করার জন্য আইবিসিসিআইর ত্রিপুরা চ্যাপ্টার চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও জানান সুজিত রায়। এ বিষয়ে তিনি জানান, বাংলাদেশের শ্রীমঙ্গল এলাকায় একটি আন্তর্জাতিক মানের চা নিলাম কেন্দ্র রয়েছে। ত্রিপুরা রাজ্যের উৎপাদিত চারা যাতে এই নিলাম কেন্দ্রের মাধ্যমে বিক্রি করা যায় তার জন্য তারা কথাবার্তা চালাচ্ছেন।
সম্প্রতি আইবিসিসিআইর তরফে দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনের হাই কমিশনার এবং ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে বিষয়গুলি নিয়ে তারা কথা বলেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২০
এসসিএন/এএ