কলকাতা: চলমান করোনা পরিস্থিতিতে লণ্ডভণ্ড প্রায় সব শিডিউল। কবে সবকিছু আবার স্বাভাবিক হবে তার কোনো দিশা নেই।
পুর্বনির্ধারিত সময়সূচি অনুয়ায়ী, আগামী বছর ২৭ জানুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কলকাতা বইমেলা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলে চলমান পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধির কথা মাথায় রেখেই বইমেলা অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বইমেলা কর্তৃপক্ষ।
রোববার (২৭ ডিসেম্বর) ‘পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড’ এর সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় জানান, করোনার প্রভাব এখনও কাটেনি। বিশ্বের নানা জায়গায় ফের লকডাউন জারি হচ্ছে। ফলে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। তাই কলকাতা আর্ন্তজাতিক বইমেলা পিছিয়ে দেওয়া হলো।
তবে বইমেলা কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে গেলে এবং আন্তর্জাতিক উড়োজাহাজ পরিষেবা সম্পূর্ণভাবে স্বাভাবিক হলে পরিস্থিতি বিবেচনা করে বইমেলা করা হবে।
যদিও রাজ্য সরকারের তরফে সরকারি মেলাগুলো চালু করার প্রস্তাব দিলেও বইমেলার বিষয়ে সবুজ সংকেত দিতে পারেনি। কারণ আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা মানেই মিলনমেলা। প্রতিদিন লাখো লাখো মানুষের মনের মিলন ঘটে এখানে। শুধু মানুষের সঙ্গে মানুষের নয়, দেশ-বিদেশের নানাপ্রান্তের বই নিয়ে আর্ন্তজাতিক এই মেলায় হাজির হন প্রকাশকরা।
গিল্ড কর্তা ত্রিদিববাবু বলেন, এই মুহূর্তে কলকাতার সঙ্গে আন্তর্জাতিক প্লেন চলাচল স্বাভাবিক নয়। ফলে বিদেশি প্রকাশকরা আসতে পারবেন না। ভারতের নানা প্রান্তের বইয়ের পাশাপাশি বিদেশি বইয়ের সমৃদ্ধ সম্ভারই এ শহরের বইমেলার অন্যতম আকর্ষণ ও ঐতিহ্য। তাই উপায় না দেখেই আপাতত অনির্দিষ্টকালের কলকাতা বইমেলা স্থগিত রাখা হলো।
২০২১ সালের বইমেলার থিমকান্ট্রি ফের বাংলাদেশ হওয়ার কথা ছিল। কারণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর উদযাপন।
জানা যায়, এ বিষয়ে গত বছর ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২১ সালের মেলায় অংশগ্রহণের জন্য একপ্রস্ত আমন্ত্রণ জানিয়েছে এসেছিলেন গিল্ড কর্তারা। পরে রাজ্য ও ভারত সরকারের তরফে সেই আমন্ত্রণ পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু করোনার জেরে আপাতত সবই স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২০
ভিএস/এএ