কলকাতা: দীর্ঘ ২২ মাস পর কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গে খুলে দেওয়া হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজ্যের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাদরাসায় গিয়ে পঠন-পাঠন শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা।
প্রথম ধাপে খুলে দেওয়া হয়েছে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত। পাড়ায় পাড়ায় পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণির পাঠশালা খুলবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ায় উচ্ছ্বসিত শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিবাবকরা।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্কুল খোলার কথা ঘোষণা করার পর থেকে সমস্ত স্কুলে শুরু হয় প্রস্তুতি। বৃহস্পতিবার স্কুলগুলোতে দেখা গেলো সমস্ত করোনাবিধি মেনেই চলছে ক্লাস। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মুখে মাস্ক এবং সাথে স্যানিটাইজার আনা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ক্লাস নেওয়া হচ্ছে শারীরিক দূরত্ব মেনে। কিছু ক্ষেত্রে বড় ক্লাসরুমে মাইকিংয়ের মাধ্যমে পড়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি ক্লাস ব্যতীত অন্যান্য সময়ও ছাত্রছাত্রীদের গতিবিধির ওপর নজর রাখছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় প্রবেশ এবং বের হওয়ার সময়ও স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। তবে স্কুলে আসার জন্য কাউকে জোর দেওয়া হচ্ছে না। যেসব শিক্ষরার্থীরা স্কুলে উপস্থিত থাকতে পারছে না তাদের জন্য সেই মুহূর্তের সম্পূর্ণ ক্লাস অনলাইনে তুলে ধরা হচ্ছে।
তবে শিশু শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল খোলার বিষয়টি এখনও সরকারের বিবেচনায় নেই বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পাড়ায় পাড়ায় আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে কীভাবে পাঠদান চলবে তার একটি নির্দেশিকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার।
সেখানে বলা হয়েছে, অনেকটা শান্তিনিকেতনের আদলে পড়াশোনা করানো হবে। একটি পাড়ায় একটি শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করবে। পঠন-পাঠন হবে খোলা জায়গা, পার্ক বা খেলার মাঠে। কোভিড বিধি এবং শারীরিক দূরত্ব মেনে চলবে পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয়। আপাতত পাড়ার শিক্ষালয়ে উপস্থিতি দেখার জন্য কাগজেই নাম নথিভুক্ত করা হবে। জোর দিতে হবে ‘জয়ফুল লার্নিং’-এ। অর্থাৎ খেলার ছলে নাচ, গান, কবিতার মাধ্যমে পঠন-পাঠন চালাতে হবে। দৈনিক দুটি শ্রেণি পাড়ার শিক্ষালয়ে পঠন-পাঠন করতে হবে। দুই ঘণ্টা ধরে এক একটা শ্রেণির ক্লাস চলবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২১
ভিএস/এমজেএফ