ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

৭ মার্চ স্মরণ করছে কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০২২
৭ মার্চ স্মরণ করছে কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশন

কলকাতা: গোটা বিশ্বের সঙ্গে কলকাতাস্থিত বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনও স্মরণ করছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রস্তুত থাকার জন্য বাঙালি জাতিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষণ বিশ্ব স্বীকৃত। ভাষণের সেই দিনটিকে স্মরণ করে যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালনের লক্ষ্যে সোমবার (৭ মার্চ) কলকাতাস্থিত বাংলাদেশ উপ হাইকমিশন নানাভাবে অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে।

এদিন সকালে উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান। এরপর বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার এবং বাংলাদেশবাসীর শুভ কামনা করে এক বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। এরপর উপ হাইকমিশন প্রাঙ্গণে ‘মুজিব চিরঞ্জীব’ মঞ্চে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সংসদ সদস্য আরমা দত্তসহ উপহাইকমিশনার সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিশিষ্টজনরা।

এরপর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের এক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এক আলোচনা এবং ছোট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল।

দিনটি উপলক্ষে আরমা দত্ত বলেন, এই দিনে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক উত্তাল জনসমুদ্রে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ডাক দেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’। এই ভাষণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতার যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেন। তার সেই ভাষণ ছিল জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার চূড়ান্ত নির্দেশনা। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে সাড়ে সাত কোটি বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। ঐতিহাসিক এই ভাষণ বিশটা ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে, যা সব প্রজন্মকে শোনানো হয়। আমি সেই সময়ের একজন সাক্ষী এবং অংশগ্রহণকারী, আমার জীবনের এক শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত। আমৃত্যু আমি সেই বজ্রকণ্ঠ ভুলবো না। বঙ্গবন্ধুর সেই ডাকে গড়ে ওঠা বাংলাদেশ যা আমরা আমৃত্যু বহন করবো।

এ বিষয়ে ডেপুটি হাই কমিশনার তৌফিক হাসন বলেন, নানা আয়োজনে দিনটিকে স্মরণ করছি। আমরা ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাই বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ ভাষণকে বিশ্ব প্রমাণ্য দলিল হিবেসে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে নথিভুক্ত করেছে। আমার মনে হয় সব বাঙালির গর্বিত হওয়া উচিত। সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায় প্রদত্ত একটি ভাষণ এখন বিশ্ব প্রামাণ্যের ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত।

এর সঙ্গে তিনি বলেন, এবারে ৪৫তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার থিমকান্ট্রি বাংলাদেশ এবং সেখানে বাংলাদেশ প্যাভেলিয়ান সাজানো হয়েছে এই ভাষণকেই উপজীব্য করে। এছাড়া বইমেলা তিনটি গেট সাজানো হয়েছে বঙ্গবন্ধুর তিনটি বইকে উপজীব্য করে। অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজ নামচা, আমার দেখা নয়া চীন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০২২
ভিএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।