ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রমোদতরী চালাতে চায় ভারত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২২
বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রমোদতরী চালাতে চায় ভারত

কলকাতা (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত): উত্তরপ্রদেশের বেনারস থেকে পাটনা-কলকাতা, বাংলাদেশের ঢাকা হয়ে আসামের ডিব্রুগড় পর্যন্ত বিশ্বের দীর্ঘতম বিলাসবহুল প্রমোদতরী চালানোর প্রস্তাব দিয়েছে ভারত সরকার। অভ্যন্তরীণ নৌপথ যোগাযোগ বাড়াতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা গেছে।

আগামী বছর এই পরিষেবা শুরু হবে বলে জানিয়েছে ভারতের নৌপরিবহন এবং জলপথ মন্ত্রণালয়। প্রমোদতরীটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘গঙ্গা বিলাস’। দৈর্ঘ্য ৬২ দশমিক ৫ মিটার এবং প্রস্থ ১২ দশমিক ৮ মিটার। প্রমোদতরীতে পর্যটকদের সব ধরনের সুবিধা থাকবে।

প্রস্তাবিত সূচি অনুযায়ী প্রমোদতরীটি আগামী বছরের ১০ জানুয়ারি বেনারস থেকে যাত্রা শুরু করে গাজীপুর, বক্সার হয়ে ১৭ জানুয়ারি বিহারের রাজধানী পাটনায় পৌঁছাবে। সেখানে একদিন অবস্থান করে মুর্শিদাবাদ হয়ে ২৯ জানুয়ারি কলকাতায় পৌঁছাবে। সেখানে একদিন থাকার পর সুন্দরবন দিয়ে বরিশাল হয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় পৌঁছাবে।

এরপর আরিচা, টাঙ্গাইল, চিলমারি দিয়ে ভারতের আসামের ধুবড়ী হয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি গৌহাটি পৌঁছাবে। সেখান থেকে ২৬ ফেব্রয়ারি মাজুলী ব-দ্বীপ হয়ে ১ মার্চ ডিব্রুগড় যাবে গঙ্গা বিলাস। দীর্ঘতম নদী যাত্রায় প্রমোদতরীটি ভারত-বাংলাদেশের ২৭টি নদী অতিক্রম করবে। যাত্রাপথে ঐতিহ্যবাহী ও ধর্মীয় স্থানসহ ৫০টিরও বেশি পর্যটনস্থান দেখার সুযোগ পাবেন যাত্রীরা। কোন পথ দিয়ে যাচ্ছে তারজন্য থাকবে উভয় দেশের নদীপথের মানচিত্র।

ভারতের নৌপরিবহন এবং জলপথমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল জানিয়েছেন, গঙ্গা বিলাস প্রমোদতরী উত্তরপ্রদেশের বেনারস থেকে আসামের ডিব্রুগড় পর্যন্ত ৪ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দেবে ৫০ দিনে। পরে কলকাতা হয়ে প্রমোদতরীটি বাংলাদেশে ঢুকবে। বাংলাদেশের প্রায় ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবে। গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও বঙ্গোপসাগর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ প্রোটোকল অনুযায়ী বাংলাদেশে চলাচল করবে। একইভাবে প্রমোদতরীটি ভারতীয় ভেসেল অ্যাক্ট অনুযায়ী রাজ্য জুড়ে নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য একটি জাতীয় পারমিট থাকবে। এটি হবে বিশ্বের বৃহত্তম নদীযাত্রা।

বেনারস থেকে ডিব্রুগড় রুটের প্রমোদতরীটি একটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেলে চালানো হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের অভ্যন্তরীণ জলপথ ‘অথরিটি অব ইন্ডিয়া’উদ্যোগে ‘অন্তরা লাক্সারি রিভার ক্রুজ’ এবং ‘জেএম বাক্সি রিভার ক্রুজ’ একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। প্রমোদতরীর ভাড়া কত হবে তা নির্ধারণ করবে অপারেটররা। টিকিটের মূল্য নির্ধারণে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, ১৪ নভেম্বর, ২০২২
ভিএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।