কলকাতা: ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়িতে মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সভা ছিল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিন অনুষ্ঠান শেষে ওই জেলার শিলদায় একটি আদিবাসী গ্রামে ঢুকে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেখানকার আদিবাসী নারীরা মমতাকে জানান, তাদের বাড়ি ভাঙাচোরা। সরকারি প্রকল্পে বাড়ি পাওয়ার কথা থাকলেও তা তারা পাননি। অনেক চেষ্টা করেও সেই টাকা তারা পাচ্ছেন না।
এমন প্রসঙ্গ উঠতেই মুখ্যমন্ত্রী গ্রামবাসীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন, কেন ওই টাকা তারা পাচ্ছেন না। মমতা বলেন, কেন্দ্র সরকার আমাদের অনেক টাকা নিয়ে নিচ্ছে। আমরা ওটা নিয়ে লড়াই করছি। ওই টাকা যখন পাব সব দিয়ে দেব।
ওই জায়গা থেকে কিছুটা এগোতেই আরও কিছু আদিবাসী নারী মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার জন্য এগিয়ে আগেন। তাদের সঙ্গেও কথা বলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে তারা বলেন, এলাকায় বিশুদ্ধ পানির প্রবল সমস্যা রয়েছে। গ্রীষ্মকাল এলে পানীয় জলের পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে ওঠে। ওই কথা শুনে মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে সঙ্গেই জেলা প্রশাসককে ডেকে ব্যবস্থা নিতে বলেন।
ঝাড়গ্রাম থেকে বেলপাহাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার সড়কের বহু এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা বাসিন্দাদের সাথে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাকে সামনে পেয়ে নিজেদের অভিযোগ জানান আদিবাসী মানুষজন।
মঙ্গলবার ছিল বীর আদিবাসী বিরসা মুন্ডার ১০৭তম জন্মজয়ন্তী। সেই অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্যে কেন্দ্রের প্রতি মমতার হুঙ্কার, হয় টাকা দাও নয়তো গদি ছাড়ো। আমাদের পাওনা অর্থ আমাদের দেবে না, এটা হতে পারে না। আমাকে বলে কিনা, সব টাকা বন্ধ করে দেব! আমরাও তো সব টাকা বন্ধ করে দিতে পারি। কেন তোমাকে টাকা দিতে যাব? তুমি জিএসটির ট্যাক্সের মধ্যদিয়ে টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছ আর আমাদের টাকা দেবে না। মানুষের জন্য দেশ। নেতার জন্য দেশ নয়। এটা হয় না। এটা একরকম প্রতারণা।
বেলপাহাড়ির ওই সভা থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে মমতা আরও বলেন, একবছর আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এনিয়ে কথা বলে এসেছি। এবার কি গিয়ে পা ধরতে হবে! আমাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া চলবে না। এটা ছিল বিরসা মুন্ডার বক্তব্য। তিনি বলতেন, রানী চালাবেন না দেশ। দেশ আমারা চালাব। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে তিনি সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। আমিও বলব অধিকার আদায় করে নিতে হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২২
ভিএস/এমজেএফ