ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প

চামড়ার দর পতনের জন্য দায়ী আন্তর্জাতিক বাজার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৬
চামড়ার দর পতনের জন্য দায়ী আন্তর্জাতিক বাজার ছবি: সুমন শেখ-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: কোরবানির পশুর চামড়ার দাম কমায় মাথায় হাত মৌসুমী ব্যবসায়ীদের। এরমধ্যে নতুন করে যুক্ত হয়েছে লবণের বাড়তি দাম।

সব মিলিয়ে চরম লোকসান আশঙ্কায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার চামড়ার কম দামের জন্যে আন্তর্জাতিক বাজারই দায়ী। বাংলাদেশের চামড়া রফতানি না হওয়ায় দাম পাওয়া যাচ্ছে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো দেশে বাংলাদেশের চামড়া রফতানি করা যায়নি। পরিবেশ দূষণের কারণে বাংলাদেশ থেকে চামড়া কেনার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইইউভ‍ুক্ত দেশগুলো।

অথচ বাংলাদেশের রফতানি হওয়া চামড়ার ৪০ শতাংশই যায় ইইউ-এর বাজারে। আর সেজন্যেই দেশে চামড়ার দাম কমে গেছে।

হাজারীবাগের ট্যানারিগুলো সাভারে স্থাপিত চামড়া শিল্প পার্কে স্থানান্তর না করা পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে চামড়া নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে ইইউ।

বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএলএলএফইএ) সাবেক সভাপতি আবু তাহের বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দরপতন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে চামড়ার রফতানির নিষেধাজ্ঞা থাকায় এখানে দাম পড়ে গেছে।

‘ইইউ-এর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হলে এ শিল্পে সুদিন ফিরবে না। ব্যবসায়ীরাও এগিয়ে যেত পারবে না। কারণ আমাদের দেশের পশুর চামড়ার মূল বাজার এটাই। ’

এদিকে লবণের দাম বাড়ায় চামড়ার মান ধরে রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাজারীবাগের চামড়া ব্যবসায়ীদের।

ব্যবসায়ী তোফায়েল আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, গত বছর কোরবানি ঈদে লবণের যে বস্তার দাম ছিলো সাড়ে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। এ এখন তা ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।

‘এতে ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা চামড়া সংরক্ষণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনের তুলনায় কম লবণ ব্যবহার করছেন। যার প্রভাব পড়বে চামড়ায়। এ দিকে সরকারকে নজর দেওয়া উচিত। ’

ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন জানায়, বাংলাদেশে প্রতিবছর ২২ কোটি বর্গফুট চামড়া পাওয়া যায়। যার বেশির ভাগই হয় কোরবানির সময়।

এর মধ্যে ৬৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ গরুর, ৩১ দশমিক ৮২ শতাংশ ছাগলের, ২ দশমিক ২৫ শতাংশ মহিষের এবং ১ দশমিক ২ শতাংশ ভেড়ার।

অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা জানান, এবার ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়া ৫০ টাকা, ঢাকার বাইরে ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া সারা দেশে খাসির লবণযুক্ত চামড়ার মূল্য ধরা হয়েছে ২০ টাকা ও ছাগলের ১৫ টাকা।

অথচ গত বছর ট্যানারি ব্যবসায়ীরা ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়া ৫০-৫৫ টাকা ও ঢাকার বাইরে ৪০-৪৫ টাকায় কিনেছেন।

আর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত মহিষের চামড়ার দাম ছিলো ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। খাসির ক্ষেত্রে মূল্য ছিলো ২০ থেকে ২২ টাকা, ১৫ থেকে ১৭ টাকায় কেনা হয় বকরির চামড়া।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৯০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৬
ইউএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।