ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প

তবে কি ভাঙছে বিজিএমইএ-র সমঝোতা!

উর্মি মাহবুব, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৫ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০১৭
তবে কি ভাঙছে বিজিএমইএ-র সমঝোতা!

ঢাকা: সমঝোতা থাকছে, নাকি ভাঙছে তাই নিয়ে নানা সরব বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। এনিয়ে আলোচনা, দেনদরবার চলছে বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ ও কর্মকর্তারা মধ্যে। 

বিজিএমইএ এর চলতি পরিচালনা পর্ষদের দুই বছর মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগস্ট মাসে। সেই হিসাবে সেপ্টেম্বরে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার কথা।

কিন্তু দুই বছর আগে, ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, একটি সমঝোতা চুক্তি হয় বিজিএমইএ’র নির্বাচনে নিয়মিত অংশগ্রহণকারী পরিষদ ও ফোরামের দল অংশের মধ্যে। চুক্তি অনুযায়ী, ২০১৫ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত পরিষদ এর পক্ষ থেকে সভাপতি দায়িত্ব পালন করা হবে আর ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সময়কালে ফোরামের নেতৃবৃন্দের মধ্য থেকেই বাছাই করা হবে বিজিএমইএ এর সভাপতি।  

সমঝোতা অনুযায়ী, ২০১৫ সাল থেকে চলতি ২০১৭ সাল পর্যন্ত পরিষদের মো: সিদ্দিকুর রহমান সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কিন্তু মো: সিদ্দিকুর রহমানের মেয়াদকাল শেষে সমঝোতা অনুযায়ী ফোরামের কোনো একজন সদস্য সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার কথা। অথচ এ নিয়েই তৈরি হয়েছে জটিলতা। এমনটিই জানালেন বিজিএমইএ-র এক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা।  

বিজিএমইএ-সূত্র থেকে জানা যায়, অলিখিতভাবে ২ বছর আগে এই মর্মে সমঝোতা হয়েছিল যে, ২০১৭ সালে সভাপতি হিসেবে ফোরামের পক্ষ থেকে দায়িত্ব নেবেন সংগঠনটির বর্তমানে দায়িত্বরত সহ-সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু। কিন্তু সমঝোতা না মানার পক্ষে আওয়াজ তুলেছেন পরিষদের কিছু সদস্য। তাদের মতে, সমঝোতা না মেনে এবার বরং পরিষদের পক্ষ থেকে নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রার্থী দেয়া উচিত। আর সে প্রার্থী হিসেবে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের দ্বিতীয় সহ-সভাপতি ফারুখ হাসানের নাম আসছে সামনে।  

বিজিএমইএ এর পরিচালনা পর্ষদের একজন সদস্য নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান, সম্প্রতি হোটেল সোনারগাঁয়ে নির্বাচনী সমঝোতার বিষয় নিয়ে কয়েক দফা পৃথক পৃথক অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছেন ফোরাম ও পরিষদের সদস্যরা। তবে এবার ফোরাম কোনো ছাড়া দেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পানি কোন দিকে গড়াবে সে বিষয়েই চলছে নানা আলোচনা ও জল্পনা।  

আসন্ন নির্বাচনে অংশ গ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে পরিষদের সদস্য ও বিজিএমইএ-র পরিচালনা পর্ষদের দ্বিতীয় সহ-সভাপতি ফারুখ হাসান বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচনে অংশ নেব কিনা এখনো সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে খুব শিগগিরই এ বিষয়ে জানানো হবে।  

অন্যদিকে ফোরামের সদস্য ও বিজিএমইএ এর পরিচালনা পর্ষদের বর্তমান সহ-সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু বাংলানিউজকে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি-প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে আমিও একজন। গত নির্বাচনের আগে সমঝোতার ভিত্তিতে সভাপতি প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছিলেন মো: সিদ্দিকুর রহমান। এবারো সেই সমঝোতার ভিত্তিতেই ফোরামের পক্ষ থেকে সভাপতি হওয়ার কথা। তবে সমঝোতা থাকবে কি থাকবে না তা সময় এলেই বোঝা যাবে।  

২০১৫ সালে নির্বাচনে কে হবেন সভাপতি সেই প্রশ্নে উঠে আসে পরিষদের মো: সিদ্দিকুর রহমান, পরিষদের ফারুখ হাসান ও ফোরামের মাহমুদ হাসান খান বাবুর নাম। কিন্তু পরে পরিষদ ও ফোরামের সমঝোতার ভিত্তিতে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সভাপতির চেয়ারে বসেন মো: সিদ্দিকুর রহমান। উক্ত কমিটিতে পরিচালক ও সহ-সভাপতির সংখ্যা বাড়ানো হয়। ২০১৫ সালে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসংখ্যা ২৭ জন থেকে বাড়িয়ে ৩৫ জন করা হয়। ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক ২০ জন থেকে বাড়িয়ে ২৬ জন ও  চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৭ জন থেকে বাড়িয়ে ৯ জন করা হয়। এর পাশাপাশি সহ-সভাপতি ৪ জন থেকে বাড়িয়ে করা হয় ৭ জন।  

বাংলাদেশ সময়: ০৭২৪ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৭
ইউএম/জেএম 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।