ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প

বিকল্প জ্বালানি হিসেবে কয়লার ব্যবহার চান ব্যবসায়ীরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৭
বিকল্প জ্বালানি হিসেবে কয়লার ব্যবহার চান ব্যবসায়ীরা ছবি: রানা/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বিকল্প জ্বালানি হিসেবে কয়লার ব্যবহারের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। শনিবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর গুলশান-২ এ হোটেল লেকশোরে আয়োজিত এক সেমিনারে এ দাবি জানান তারা। 

‘জ্বালানি নিরাপত্তা ২০৩০: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই)।  

ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জ্বালানির চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে।

কিন্তু যে পরিমাণ জ্বালানি মজুদ রয়েছে তা দিয়ে আমরা আগামী ৬-৮ বছর চলতে পারবো।

‘অথচ কয়লাকে আমরা জ্বালানির অন্যতম বিকল্প উৎস হিসেবে ব্যবহার করতে পারি। কিন্তু তা করা হচ্ছে না। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। ’

তিনি বলেন,  জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য আমাদের নতুন নতুন গ্যাস ক্ষেত্র অনুসন্ধান কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে। পাশাপাশি অফশোর এবং অনশোর উভয় পদ্ধতিতেই কূপ অনুসন্ধানের কাজ চালিয়ে যেতে হবে।

জ্বালানি নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ, নেপাল ও ভ‍ুটানের মধ্যে ক্রস-বর্ডার পাওয়ার ট্রেড চালুর দাবি জানান এই ব্যবসায়ী নেতা।  

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন-প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। আর  বিশেষ অতিথি ছিলেন- বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং খনিজ সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো.তাজুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের চাহিদা মেটাতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির উপর গুরুত্বারোপ করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের খনিজ সম্পদ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তামিম।  

‍গবেষণা সংস্থা পিআরআই-এর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, বিদ্যুৎ খাতের বড় প্রকল্পগুলোকে দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করতে হবে।

আর প্রাথমিক জ্বালানির উৎস নিশ্চিতকরণের সঙ্গে সঙ্গে দেশে মজুদ কয়লা উত্তোলন ও ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তার কথা  তুলে ধরেন রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ড. মুশফিকুর রহমান।  

ইসিপিভি চিটাগাং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী রেজওয়ানুল কবির বলেন, বড় বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ক্ষেত্রে ঋণ প্রবাহ নিশ্চিতকরণ এবং গভীর সমুদ্র এলাকায় কূপ অনুসন্ধানে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ করা প্রয়োজন।

সেমিনারে মুক্ত আলোচনায় চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান খালেক ইকবাল, ডিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান, আসিফ ইব্রাহীম, পরিচালক খায়রুল মজিদ মাহমুদ,  স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকয়ের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবরার আনোয়ার,  বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম,  ব্যবসায়ী এম এস সিদ্দিকী এবং  সেলিম আকতার খান প্রমুখ অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৭
এমএফআই/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।