এ লক্ষ্যে প্রকল্পের আওতায় ইউনিসেফের সহায়তায় চট্টগ্রামের পটিয়ায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) জমিতে বিশাল সল্ট আয়োডাইজেশন প্ল্যান্ট (এসআইপি) স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
৭২ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘সার্বজনীন আয়োডিনযুক্ত লবণ তৈরি কার্যক্রমের মাধ্যমে আয়োডিন ঘাটতি পূরণ’ শীর্ষক চলমান প্রকল্পটি চলতি সময় থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে বাস্তবায়িত হবে।
দেশে প্রতিদিনের লবণের চাহিদা প্রায় ১৫ লাখ ৭৬ হাজার টন। সম্পূর্ণটাই উৎপাদন করে বেসরকারি বিভিন্ন কোম্পানি।
মানভেদে প্রতি কেজি লবণে ন্যূনতম ৫০ মিলিগ্রাম আয়োডিন থাকা আবশ্যক। অথচ আয়োডিনের উপস্থিতি সঠিকভাবে থাকছে না বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি লবণে। ফলে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দৈনিক ১৫০ মাইক্রোগ্রাম আয়োডিন পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছে বিসিক।
আয়োডিনের ঘাটতি বা থাইরয়েড সিনড্রম দেশে স্বাস্থ্যগত সমস্যার অন্যতম কারণ। অবসন্নতা, চুলে শুষ্কতা, ঘুম ঘুম ভাবও হতে পারে আয়োডিনের অভাবে।
বিসিক সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে প্রস্তাবিত প্ল্যান্টে উৎপাদিত লবণ হাসপাতাল, রেশনসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থায় বিক্রি করা হবে। ফলে আয়োডিনের ব্যবহার পুরোপুরি নিশ্চিত হবে।
বিসিকের লবণ উৎপাদন প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী শফিকুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, ‘পরীক্ষা করে দেখেছি, বেসরকারি একটি ব্র্যান্ডের এক কেজি লবণে আয়োডিনের উপস্থিতি ৩৫ দশমিক ৩৭৫ মিলিগ্রাম। অন্য দু’টি ব্র্যান্ডের সমপরিমাণ লবণে আয়োডিনের উপস্থিতি ২৯ দশমিক ১২৫ ও ৩২ দশমিক ৫ মিলিগ্রাম। এসব লবণ যদি হাসপাতালে সরবরাহ করা হয়, রোগীরা আরও নানা সমস্যায় পড়বেন। তাই সরকারি উদ্যোগে প্রাথমিকভাবে হাসপাতাল ও রেশনের লবণ উৎপাদন করবো। পুলিশ, বিজিবিসহ বিভিন্ন সরকারী বাহিনীতেও বিক্রি করবো’।
‘আমার বিশ্বাস, এ কাজে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী এগিয়ে আসবে’।
তিনি জানান, পটিয়ায় উৎপাদন করে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খুলনা ও ঝালকাঠি লবণজোনের মাধ্যমে আয়োডিনযুক্ত লবণ সরবরাহ করা হবে। বিসিকের ৬৪টি জেলা কার্যালয়ের মাধ্যমেও সমগ্র বাংলাদেশে ছড়িয়ে যাবে।
বিসিক সূত্র জানায়, ভোক্তাদের মাঝে আয়োডিনযুক্ত এ লবণের চাহিদা সৃষ্টি করা হবে। পটাশিয়াম আয়োডেট সংগ্রহ, বিতরণ ও টেকসই ব্যবসায়িক পরিকল্পনা নিশ্চিত করবে সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর