ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প

৩৯৮২ কোটি ব্যয়ে পায়রা বন্দরে প্রথম টার্মিনাল

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৮
৩৯৮২ কোটি ব্যয়ে পায়রা বন্দরে প্রথম টার্মিনাল পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে/ফাইল ছবি

ঢাকা: পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নে এগিয়ে চলেছে দক্ষিণবঙ্গের স্বপ্নের প্রকল্প পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ কাজ। পায়রা বন্দর বাস্তবায়িত হলে বদলে যাবে এখানকার চিত্র। ২০১৯ সালে স্বল্প পরিসরে পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দরের কার্যক্রম চালু করতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলেছে। এর মধ্যে অন্যতম চ্যালেঞ্জ টার্মিনাল নির্মাণ।

টার্মিনালটি হবে ৬০০ মিটার দীর্ঘ। প্রথমে সমুদ্র পথে পাথর ও কয়লা আসবে।

একটি বিশাল জাহাজের মালামাল খালাসের মতো অবকাঠামোগত সব সুবিধা থাকবে টার্মিনালে।
 
শুধু টার্মিনাল নয়, বন্দর ঘিরে সংযোগ সড়ক, আন্দারমানিক নদীর উপর সেতু ও আনুষঙ্গিক সুবিধা তৈরি করবে সরকার। কারণ পায়রা সমুদ্র বন্দরের কাছে এখনও মাটি। প্রথম টার্মিনাল নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে সংযোগ সড়কও ফোরলেন হবে।
 
আগস্ট ২০১৮ সালেই টার্মিনাল নির্মাণ কাজ শুরু করতে চায় নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রথম টার্মিনালসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণে মোট ব্যয় হবে ৩ হাজার ৯৮২ কোটি টাকা। ‘পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দরে প্রথম টার্মিনাল, সংযোগ সড়ক, আন্দারমানিক নদীর উপর সেতু ও আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ’প্রকল্পের আওতায় এগুলো বাস্তবায়িত হবে। জুন ২০২১ মেয়াদের আগেই প্রথম টার্মিনাল কাজ সম্পন্ন করতে চায় বন্দর কর্তৃপক্ষ।
 
বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, প্রকল্পের মেয়াদ জুন ২০২১ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হলেও টার্মিনাল ২০১৯ সালেই নির্মিত হবে। পায়রা সমুদ্র বন্দরকে স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি এই তিন ভাগে ভাগ করে উন্নয়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় স্বল্প-মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনাও বাস্তবায়িত হবে।
 
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মহিউদ্দিন আহমেদ খান বাংলানিউজকে বলেন, প্রকল্পের আওতায় পায়রা সমুদ্র বন্দরে প্রথম ৬০০ মিটার দীর্ঘ টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। একটি বিশাল জাহাজের পণ্য এই টার্মিনালে খালাস করা যাবে। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও পদ্মাসেতু বাস্তবায়নের জন্য প্রথমে সমুদ্র পথে প্রচুর কয়লা ও পাথর আসবে পায়রা সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে। জাহাজের পণ্যসামগ্রী খালাস, বোঝাই এবং স্থল পরিবহন চেইনের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। যতো দিন যাচ্ছে ততোই বদলে যাচ্ছে সমুদ্র বন্দর ও আশপাশের এলাকা।
 
তিনি আরও বলেন, পায়রা সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে একদিন দেশের চিত্র পাল্টে যাবে, সেই লক্ষ্যেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। বন্দর দেশীয়-বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে প্রত্যাশিত অবদান রাখবে।   
 
২০১৯ সালের মধ্যেই নির্মাণ সামগ্রী ও অন্যান্য বাল্ক পণ্যবাহী জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করে দেশের অভ্যন্তরে প্রয়োজনীয় স্থানে পরিবহন সহজ করা হবে। ফলে প্রকল্পের আওতায় পায়রা বন্দরে কন্টেইনার টার্মিনাল, মাল্টিপারপাস টার্মিনাল, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।
 
৪৬ হাজার ২০০ বর্গমিটার জেটি, ৫২ হাজার বর্গমিটার স্লোপ প্রটেকশন, ১৩শ’মিটার গ্যান্টি ক্রেনের জন্য রেল লাইন নির্মিত হবে। ৫ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন, ১০ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার লাইন, সাড়ে ৬ কিলোমিটার ফোরলেন মহাসড়ক নির্মাণ করা হবে। টার্মিনালে পণ্য খালাসের সুবিধায় একটি মোবাইল হারবার ক্রেন, ১৮টি ট্রাক্টর, ৩৬টি ট্রেইলার, পাঁচটি ফর্ক লিফট ও ছয়টি ছোট ইয়ার্ড ক্রেন ক্রয় করা হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৭১৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৮
এমআইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।