ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প

কারখানার স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে বিজিএমইএ’র অডিট

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৩ ঘণ্টা, মে ৫, ২০২০
কারখানার স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে বিজিএমইএ’র অডিট

ঢাকা: করোনা ভাইরাস থেকে কারখানা শ্রমিকদের নিরাপত্তায় কন্ট্রোল রুম খোলার পাশাপাশি চার অঞ্চল ভিত্তিক মনিটরিং বা অডিট টিম গঠন করেছে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। এই টিম ইতোমধ্যে কাজও শুরু করেছে।

প্রতিটি কারখানায় একজন স্টাফকে একটি নির্দিষ্ট ফোন নম্বর দিয়ে (বিশেষ করে হটলাইন নম্বর) সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রেখেছে। যাতে কোনো শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ওই নম্বরে জানাতে পারেন।

একইসঙ্গে তাদের তাৎক্ষণিক সহায়তায় আটজনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিমও নিয়োজিত রেখেছে।

এদিকে, মঙ্গলবার (০৫ মে) পর্যন্ত করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা প্রটোকল নিশ্চিত করতে বিজিএমইএ-এর গঠিত অঞ্চল ভিত্তিক কারখানা মনিটরিং টিম মোট ২৮২টি কারখানার অডিট করেছে। যার মধ্যে ২৭১টি কারখানার সার্বিক পরিস্থিতি সন্তোষজনক পেয়েছে।

বাকি ১১টি কারখানার পরিস্থিতির উন্নতির প্রয়োজন পড়ে। পরে তাৎক্ষণিক তাদের পুনরায় কার্যক্রম শুরু করার জন্য সংশোধনমূলক কর্মপরিকল্পনা নেওয়ার পরামর্শ দেয় অডিট টিম।

এর আগে গত সোমবার (২৭ এপ্রিল) বিজিএমইএ-এর একটি সূত্র স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রটোকল নিশ্চিত করতে বিজিএমইএ কারখানার অডিট টিমের কথা বাংলানিউজকে নিশ্চিত করে।

শিল্প-কারখানায় করোনা রোগী চিহ্নিত হলে বিজিএমইএ-কে অবহিতকরণের পাশাপাশি বিজিএমইএ হেলথ সেন্টারে কর্মরত ডাক্তারদের সহায়তা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। তাৎক্ষণিক সহায়তায় নিয়োজিত রয়েছেন আটজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। এসব চিকিৎসকের ব্যক্তিগত নম্বরে ফোন করেও প্রয়োজনীয় সহায়তা নেওয়া যাবে বলে জানা গেছে।

চার অঞ্চল ভিত্তিক মনিটরিং টিমের মধ্যে প্রথম জোন ঢাকা মেট্রোপলিটন টিমে আটজন নিয়োজিত রয়েছেন। তাদের এলাকা হলো- রামপুরা, খিলগাঁও, সবুজবাগ, রমনা, পল্টন থানা, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, গুলশান, বনানী থানা, বাড্ডা, ভাটারা, খিলক্ষেত থানা, উত্তরা, উত্তরখান, দক্ষিণখান, তুরাগ থানা, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, সেনপাড়া পর্বতা, কাফরুল, ক্যান্টনমেন্ট থানা, মিরপুর-১০, ১১, ১২, পল্লবী থানা, মোহাম্মদপুর, আদাবর, শাহ আলীবাগ, মিরপুর-১, মিরপুর-২ ও দারুস সালাম থানা।

দ্বিতীয় জোনে সাভার ও আশুলিয়া কাজ করছে ছয়জনের মনিটরিং টিম। এ জোনের এলাকাগুলো- আশুলিয়া থানা, গনকবাড়ী, ইপিজেড, জিরানী বাজার, বিকেএসপি, হেমায়েতপুর, সাভার, নবিনগর, ধামরাই ও মানিকগঞ্জ।

তৃতীয় অঞ্চল গাজীপুরে ৮ জনের মনিটরিং টিম রয়েছে। তাদের এলাকা- টঙ্গী থেকে মাওনা, শ্রীপুর, ভালুকা, ত্রিশাল ও ময়মনসিংহ পর্যন্ত। গাজীপুর চৌরাস্তা-কোনাবাড়ী ও কাশিমপুর, কালিয়াকৈর, শফিপুর, চন্দ্রা, মির্জাপুর ও টাঙ্গাইল পর্যন্ত। গাজীপুর চৌরাস্তা টু গাজীপুর সদরও।

চতুর্থ জোন নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী মনিটরিং করছেন তিনজন। তাদের এলাকা শ্যামপুর, ডেমরা, পোস্তগোলা, যাত্রাবাড়ী, সূত্রাপুর থানা, কদমতলী থানা, সিদ্দিরগঞ্জ, কাঁচপুর, রূপগঞ্জ, ভুলতা, আড়াইহাজার, নরসিংদী জেলা, ফতুল্লা, পঞ্চবটি, চাষাড়া, শিবু মার্কেট, পাগলা ও বিসিক এবং নরসিংদী জেলা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০২০
ইএআর/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।