অনলাইন সংবাদমাধ্যম বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম এবং ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি) আয়োজিত ‘জাতীয় উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতায় কলেজ পর্যায়ের নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রকল্প ‘অটো কালটিভেটর’ প্রজেক্ট যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে।
অনুষ্ঠিতব্য ইন্টেল ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ফেয়ারে অংশ নিতে এ প্রকল্প পাড়ি জমাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে।
‘বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম-আইইউবি’ আয়োজিত জাতীয় উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতায় প্রথম ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল, দ্বিতীয় নটরডেম কলেজ এবং তৃতীয় হয় স্কলাসটিকা। গত ২১ মার্চ বুধবার এ প্রকল্পের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আইইউবিতে কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় তৃতীয় প্রকল্প বিজয়ী স্কলাসটিকা অংশ নেয়নি। এর কারণ হিসেবে তারা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পিটসবার্গে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইন্টেল ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ফেয়ারটি (আইএসইএফ) হবে মে মাসে। তখন শিক্ষার্থীদের এ-লেভেলস পরীক্ষা চলবে। এ জন্য তারা কর্মশালায় অংশ নিতে পারছে না। তবে দু ঘণ্টাব্যাপী কর্মশালায় বাকি দুটি প্রকল্পের বিজয়ীরা অংশ নিয়েছিল।
সবশেষ দুটি প্রকল্পের গুরুত্ব যাচাই-বাছাইয়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়। আইএসইএফয়ের বাংলাদেশ প্রতিনিধি সাইদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ফেয়ার কমিটি প্রতিটি প্রকল্পের মান যাচাই করে দেখেছেন।
এখানে মূলত দেখা হয় কোন প্রকল্পটি বাংলাদেশের জন্য বেশি কার্যকর। এর সঙ্গে গবেষণার বিষয়টিও গুরুত্ব পায়। এসব যাচাইয়ের পরই ‘অটো কাল্টিভেটর’ প্রকল্পটি চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্র যাওয়াটা এখন নির্ভর করছে শিক্ষার্থীদের ভিসা পাওয়ার ওপর।
এ বিষয়ে আইএসইএফয়ের বাংলাদেশ প্রতিনিধি সাইদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এটাই প্রথম কোনো আন্তর্জাতিকমানের প্রকল্প প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের কলেজ পড়ুয়ারা লাল-সবুজ পতাকা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরবে। এটা সত্যিই গৌরবের। একই সঙ্গে তিনি বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম এবং ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশকে এ ধরনের প্রতিযোগিতা আয়োজনে জন্য বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
‘অটো কালটিভেটর’ প্রকল্পটি তৈরি করেছে নটরড্যাম কলেজের মো: সাদ আহমেদ এবং ফারহানুল হুদা। তারা জানায়, কৃষিনির্ভর বাংলাদেশে ফসল ফলানোর আগ পর্যন্ত যতগুলো ধাপ আছে প্রায় সবগুলো একটি মেশিন দিয়েই তা সম্পূর্ণ করার পদ্ধতি দেখানো হয়েছে।
একই সঙ্গে মাটি খোঁড়ানোর কাজ, বীজ বপণের কাজ, এবং পানি দেওয়ার কাজ সব করা যাবে। এজন্যই প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছে অটো কালটিভেটর।
যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া সম্পর্কে ফারহানুল হুদা বলেন, জাতীয় উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতায় আমরা দ্বিতীয় হয়েছি। কিন্তু আন্তর্জাতিক মানের একটি প্রতিযোগিতায় নিজের দেশ থেকে প্রথম হয়েই যাচ্ছি। এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য।
যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৫২ সাল থেকে ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ফেয়ার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতি বছর ৬৫টি দেশ থেকে দেড় হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। এতে প্রকল্প জমা পড়ে ১ হাজারেরও বেশি। প্রতিবেশি দেশ ভারত, পাকিস্তান অনেক বছর ধরে এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। তবে এবারই প্রথম অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের প্রতিযোগীরা।
বাংলাদেশ সময় ২০৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১২
সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর