অনলাইনে ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা গুজব ছড়ানোর দায়ে চীন সরকার দেশটির ১৬টি ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিয়েছে। এ ছাড়াও দুটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিরুদ্ধে আইনি মামলা করা হয়েছে।
চীনের সরকারি ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রক এবং বেইজিং পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, সামরিক বাহিনীর গাড়ি বেইজিং শহরে প্রবেশ করছে এবং সেখানে অপরাধমূলক কর্মকান্ড ঘটতে যাচ্ছে। এ ধরনের গুজব জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। এ জন্য সরকার এ ধরনের কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে হংকং সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জোসেফ চ্যাং আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, চীনে রাজনৈতিক অবস্থার অস্বচ্ছতা এ ধরনের ঘটনার মূল কারণ। জনগন সরকারি সংবাদ সংস্থার কোনো সংবাদ বিশ্বাস করতে চায় না। কারণ তারা জানে এসব মাধ্যমগুলোকে খুবই কঠিনভাবে নিয়ন্ত্রণ এবং পর্যবেক্ষণ করা হয়।
জিয়াংহু আরও জানিয়েছে, বেইজিং পুলিশ অনির্দিষ্ট সংখ্যক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের এ বিষয়ে জিঙ্গাসাবাদ করছে। ভবিষ্যতের এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকে সতর্ক করা হচ্চে। এ ছাড়া গ্রেপ্তার করা ছয় জনের পরিচয় জানা এখনও যায়নি।
এ ছাড়াও টুইটারের মতো চীনের জনপ্রিয় দুটি সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহারকারীদের মন্তব্যের অপশন নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। সীনা করপোরেশন এবং টেনসেন্ট হলিডিংসয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন সাইট দুটির ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩০ কোটি। প্রয়োজনীয় স্বচ্ছতার জন্য অপশনটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে বলে দুটি প্রতিষ্ঠান সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে টেনসেন্টসের ওয়েবসাইটের উল্লেখ্য বার্তাটি, মাইক্রোব্লগ মাধ্যমে গুজব এবং স্পর্শকাতর তথ্য ছড়ালে সমাজে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আর মাইক্রোব্লগ ব্যবহারকারীদের মন্তব্যের বিশাল একটি অংশে গুজব এবং অসত্য তথ্য নিয়েই বেশি হইচই হয়।
তবে চীনে এ ধরনের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতেও ইন্টারনেটে অপরাধের জন্য সন্দেহভাজন ১০৬৫ জনকে আটক করা হয়। আর ৩ হাজারের বেশি ওয়েবসাইটের পরিচালকদের কঠোর সতর্ক বার্তা পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ সময় ১৭৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০১২
সম্পাদনা: সিজারাজ জাহান মিমি/সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর