ডিজিটাল বই বিক্রিতে রেকর্ড গড়েছে ২০১১ সাল। ২০১০ সালের তুলনায় ২০১১ সালে ডিজিটাল বই বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে ৫৪ ভাগ।
অনলাইন পাঠক সংস্কৃতিতে ই-বুক কনটেন্ট ডাউনলোড এবং পাঠের পরিমাণ অপ্রত্যাশিত হারে বেড়েছে। ২০০৭ সালের তুলনায় এ বেড়ে হয়েছে তিন গুণ। পাবলিশার অ্যাসোসিয়েশন (পিএ) সূত্র বার্ষিক প্রতিবেদনে (ইয়ার বুক) এ সব তথ্য তুলে ধরেছে।
এ মুহূর্তে পুরো বিশ্বের বই বিক্রির ৮ ভাগ দখলে নিয়েছে ডিজিটাল বুক। ২০১০ সালে এ সংখ্যা ছিল ৫ ভাগেরও কম। । এর বিপরীতে কাগুজে বই বিক্রির পরিমাণ কমেছে ২ ভাগ। অর্থের হিসাবে এর পরিমাণ ৩২০ কোটি ইউরো।
পাবলিশার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী রিচার্ড মোলেট জানান, একদিকে কমেছে কাগুজে বইয়ের বিক্রি। ঠিক তার বিপরীতে রেড়েছে ই-বুক এবং ডিজিটাল প্রকাশনার কাটতি এবং কদর।
ব্রিটিশ পাঠকদের কাছে মলাটে বইয়ের তুলনায় ই-বুকের চাহিদা এখন তুঙ্গে। এরই মধ্যে গত তিন বছরে এ শিল্পের প্রবৃদ্ধি ৫০ ভাগ অতিক্রম করেছে। আগামী সময়েও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। ফলে প্রকাশনা শিল্পের নতুন সংস্কৃতির চাপে পড়েছে বিশ্বের খ্যাতনামা সব প্রকাশনা সংস্থাগুলো।
এ ছাড়াও বিদেশে মহাসড়কের পাশে বইয়ের দোকানগুলোতে দারুণ কাটতি ছিল। কিন্তু ক্রমেই এ চাহিদা কমতে শুরু করে। ২০০৬ সাল থেকে গত ৬ বছরে মহাসড়কের (স্ট্রিট বুক স্টোর) পাশের বই বিক্রির ২ হাজার দোকান তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে।
ফলে কাগুজে বই এবং প্রকাশনা ক্রমেই ডিজিটাল ই-বুকের কাছে ধরাশায়ী হচ্ছে। গত এক বছরে ডিজিটাল কনটেন্ট খাতে ৫৪ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। এ ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। এমনটাই বলছেন সংশ্লিষ্ট বাজার গবেষণাপ্রতিষ্ঠান এবং বিশেষজ্ঞেরা।
বাংলাদেশ সময় ২১৩৩ ঘণ্টা, মে ২, ২০১২