ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ই-বুকের প্রবৃদ্ধি ৫৪ ভাগ!

সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩২ ঘণ্টা, মে ২, ২০১২
ই-বুকের প্রবৃদ্ধি ৫৪ ভাগ!

ডিজিটাল বই বিক্রিতে রেকর্ড গড়েছে ২০১১ সাল। ২০১০ সালের তুলনায় ২০১১ সালে ডিজিটাল বই বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে ৫৪ ভাগ।

অর্থের হিসাবে তা ২৪ কোটি ৩০ লাখ ইউরো। সংবাদমাধ্যম সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

অনলাইন পাঠক সংস্কৃতিতে ই-বুক কনটেন্ট ডাউনলোড এবং পাঠের পরিমাণ অপ্রত্যাশিত হারে বেড়েছে। ২০০৭ সালের তুলনায় এ বেড়ে হয়েছে তিন গুণ। পাবলিশার অ্যাসোসিয়েশন (পিএ) সূত্র বার্ষিক প্রতিবেদনে (ইয়ার বুক) এ সব তথ্য তুলে ধরেছে।

এ মুহূর্তে পুরো বিশ্বের বই বিক্রির ৮ ভাগ দখলে নিয়েছে ডিজিটাল বুক। ২০১০ সালে এ সংখ্যা ছিল ৫ ভাগেরও কম। । এর বিপরীতে কাগুজে বই বিক্রির পরিমাণ কমেছে ২ ভাগ। অর্থের হিসাবে এর পরিমাণ ৩২০ কোটি ইউরো।

পাবলিশার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী রিচার্ড মোলেট জানান, একদিকে কমেছে কাগুজে বইয়ের বিক্রি। ঠিক তার বিপরীতে রেড়েছে ই-বুক এবং ডিজিটাল প্রকাশনার কাটতি এবং কদর।

ব্রিটিশ পাঠকদের কাছে মলাটে বইয়ের তুলনায় ই-বুকের চাহিদা এখন তুঙ্গে। এরই মধ্যে গত তিন বছরে এ শিল্পের প্রবৃদ্ধি ৫০ ভাগ অতিক্রম করেছে। আগামী সময়েও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। ফলে প্রকাশনা শিল্পের নতুন সংস্কৃতির চাপে পড়েছে বিশ্বের খ্যাতনামা সব প্রকাশনা সংস্থাগুলো।

এ ছাড়াও বিদেশে মহাসড়কের পাশে বইয়ের দোকানগুলোতে দারুণ কাটতি ছিল। কিন্তু ক্রমেই এ চাহিদা কমতে শুরু করে। ২০০৬ সাল থেকে গত ৬ বছরে মহাসড়কের (স্ট্রিট বুক স্টোর) পাশের বই বিক্রির ২ হাজার দোকান তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে।

ফলে কাগুজে বই এবং প্রকাশনা ক্রমেই ডিজিটাল ই-বুকের কাছে ধরাশায়ী হচ্ছে। গত এক বছরে ডিজিটাল কনটেন্ট খাতে ৫৪ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। এ ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। এমনটাই বলছেন সংশ্লিষ্ট বাজার গবেষণাপ্রতিষ্ঠান এবং বিশেষজ্ঞেরা।

বাংলাদেশ সময় ২১৩৩ ঘণ্টা, মে ২, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।