স্যামসাং গ্যালাক্সি সিরিজে নতুন সংযোজন এসথ্রি। এ মুহূর্তে আইফোনের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বীও গ্যালাক্সি এসথ্রি।
এরই মধ্যে কোরিয়ান এ নির্মাতা লন্ডনে জমকালো প্রদর্শনী দেখিয়েছে। এতে আছে হাই ডেফিনেশন (এইচডি) টাচস্ক্রিন। আকৃতিতে এসথ্রি আইফোনের চেয়ে দ্বিগুণ প্রায়। কিন্তু পুরুত্বে আইফোনের চেয়ে পাতলা। আর ওজনেও বেশ হালকা।
স্যামসাং সূত্র জানিয়েছে, বিশ্বের ১৪৫টি দেশে গ্যালাক্সি এসথ্রি বিপণন করা হবে। আর এ জন্য ২৯৬টি ফোন বিপণন প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচিত করা হয়েছে। জাপান, কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রে এসথ্রি ফোরথ জেনারেশন (ফোরজি) নেটওয়ার্কে দ্রুত গতিতে ডাটা ডাউনলোড উপভোগ করতে পারবে।
এখনও পর্যন্ত নির্বাচিত এসথ্রি বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করেনি স্যামসাং। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এ দায়িত্বে আছে ভেরিজন, এটিঅ্যান্ডটি, স্প্রিন্ট এবং টি-মোবাইল।
আগের গ্যালক্সি সিরিজের পণ্যগুলোর মতো এসথ্রিও অ্যানড্রইড সিস্টেমে সমর্থন করবে। একে কমপিউটার পরিচালনার মতো শক্তিশালী প্রসেসর আছে। আইফোন ডুয়্যাল কোর শক্তিচালিত। কিন্তু এসথ্রিতে আছে কোয়াড কোর প্রসেসর।
গ্যালাক্সি এসথ্রিতে সবচেয়ে আকর্ষণীয় সুবিধা হচ্ছে ‘ভয়েস কমান্ড’ ফিচার। বন্ধ এসথ্রিকে ঘুম থেকে জেগেই ‘হাই গ্যালাক্সি‘ বললেই তাৎক্ষণিক সজাগ হবে এ ফোন। অনেকটা অবিচ্ছেদ্য বন্ধুর মতোই তথ্য দেবে, মিটিংয়ের কথা জানিয়ে দেবে কিংবা কথোপকথনও করবে খানিকটা। যেমনটি তাকে নির্দেশ দেওয়া হবে। ঠিকঠাক তেমন নিদের্শই চলবে এসথ্রি।
এখনও পর্যন্ত স্যামসাং এসথ্রি বিপণনের কোনো সংখ্যা প্রকাশ করেনি। তবে গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে অ্যাপল ৩ কোটি ৫১ লাখ আইফোন বিক্রি করেছে। স্যামসাংয়ের লক্ষ্যমাত্রা এর চেয়েও বেশি বলে বাজার বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক বাজার গবেষক মাইকেল ওয়াকলি জানান, এ বছরের প্রথম তিনমাস আইফোন একচ্ছত্র আধিপত্য নিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করেছে। তবে আগামী দুই ত্রৈমাসিকে এ লড়াইটা অ্যাপল এবং স্যামসাং ভাগাভাগি করবে। অর্থাৎ প্রতিযোগিতা দুপক্ষের মধ্যে হলেও সুফলটা যাবে ভোক্তাদেরই অনুকূলে।
বাংলাদেশ সময় ১৭৪৬ ঘণ্টা, মে ৬, ২০১২