ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

৪০০ কোটি মানুষের পছন্দ এসএমএস!

সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৭ ঘণ্টা, মে ৯, ২০১২
৪০০ কোটি মানুষের পছন্দ এসএমএস!

বিশ্বপ্রযুক্তিতে এগিয়ে থাকার দৌঁড়ে নিরন্তন গবেষণা চলতেই থাকে। এ হিসাবে ফেসবুক সামনে আসতেই পারে।

কিংবা স্মার্টফোন। তা না হলে ইন্টারনেট। কিন্তু মোবাইল ফোনের এসএমএস (মোবাইল বার্তার) এর নাম আসে, তবে খুব বেশি অবাক হওয়ার মতো তথ্য এটা নয়।

কারণ বিশ্বের ৪০০ কোটি মানুষ এখনও তাদের স্বাভাবিক এবং সাশ্রয়ী যোগাযোগের এ মাধ্যমকে আনায়াশে এবং সাবলীল ভাষা হিসেবেই নিয়েছেন।

যদিও এ গল্পের শুরুটা ১৯৯২ সালে ৩ ডিসেম্বর। প্রথম এসএমএস প্রেরণ করা হয় ভোডাফোনের মাধ্যমে। এটি প্রেরণে নেটওয়ার্ক ছিল জিএসএম। আর পাঠানো হয় যুক্তরাজ্যে। বার্তাটি ছিল ‘মেরি ক্রিসমাস’।

ইন্টারনেট কিংবা স্মার্টফোনের এ দ্রুত গতির সময়ে এসেও হার মানেনি এসএমএস। কারণ সাবলীল এবং সহজবোধ্য বার্তা প্রেরণ কৌশলকে সাধারণ মানুষ এখনও জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করে। যদিও এ সময়ের মোবাইল ফিচারের তান্ডবে এসএমএস কারো কারো কাছে হাস্যকর ঠেকতে পারে। কিন্তু ইতিহাস আর রেকর্ড বলছে একেবারেই ভিন্ন কথা।

এখনও বিশ্বের ৪০০ কোটি এসএমএস বার্তার ওপর নির্ভরশীল। মাত্র ১৬০টি অক্ষরের বার্তাতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথাই সুসম্পন্ন করা যায়। এ নিয়ে খুব বেশি ঝামেলাও পোহাতে হয় না।

বিশ্বের প্রথম মোবাইল ফোন অ্যানালগ পদ্ধতিতে কাজ করে। এটা ছিল ফিক্সড লাইন টেলিফোনি। এটিঅ্যান্ডটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এটি প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আত্মপ্রকাশ করে। কিন্তু ১৯৮২ সালে ইউরোপিয়ান টেলিফোনি সম্মেলনে একে আরও আধুনিক করার জোরালো প্রস্তাব আসে।

সে সময় গ্রুপ স্পেশাল মোবাইল (জিএসএম) কমিটি গঠন করে এ সেবার পরিসর বাড়ানো গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। এ নিয়ে কাজ শুরু করে প্যারিসের কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়াররা।

এরপর ১৩টি ইউরোপভুক্ত দেশ গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশনস (জিএসএম) নেটওয়ার্ক ব্যবহারে সম্মত হয়। দ্রুতই এর নেটওয়ার্ক স্থাপিত হয়। এর মাধ্যমে ১৯৯১ সালে প্রথম জিএসএম নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কল করেন তৎকালিন ফিনিশ প্রেসিডেন্ট। এরপর ১৯৯২ সালের মে থেকে জিএসএম মোবাইল ফোন বিক্রির আনুষ্ঠানিক ছাড়পত্র পাওয়া যায়।

আর ঠিক তার কমাস পরেই আর্বিভূত হয় মোবাইল ফোনের এসএমএস। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি এ গণমাধ্যমকে। এরপর ২০ বছর পেরিয়ে গেছে। আর কিছুদিনের মধ্যেই এসএমএস ২০ বছরে পা দিতে যাচ্ছে। কিন্তু তবুও তবুও থেমে থাকেনি এ জয়ের রথ।

বাংলাদেশ সময় ২২১৭ ঘণ্টা, মে ৯, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।