ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

২৬০০ ইউনিয়নে দ্রুতগতির ইন্টারনেট দিতে চুক্তি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০২ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২৩
২৬০০ ইউনিয়নে দ্রুতগতির ইন্টারনেট দিতে চুক্তি

ঢাকা: দেশের দুই হাজার ৬০০ ইউনিয়নে দ্রুতগতির ইন্টারনেট অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত, আপগ্রেডেশন, প্রতিস্থাপন, পরিচালনা ও রেভিনিউ শেয়ারিংয়ের জন্য বেসরকারি অংশীদার সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেড এবং ফাইবার এট হোম লিমিটেডের সঙ্গে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)।  

দুই হাজার ৬০০টি ইউনিয়নের মধ্যে সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেড এক হাজার ২৯৩টি ইউনিয়ন ও ফাইবার এট হোম লিমিটেড এক হাজার ৩০৭টি ইউনিয়নে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

চুক্তি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান দু’টি আগামী ২০ বছর দুই হাজার ৬০০ ইউনিয়নে ইন্টারনেট সেবা সার্বক্ষণিক সচল রাখবে।

বিসিসির নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার ও সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. আরিফ আল ইসলাম এবং ফাইবার এট হোম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রফিকুর রহমান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।  

সোমবার (২২ মে) আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটরিয়ামে এ চুক্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।  

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ভিত্তি রচনা করেছেন বঙ্গবন্ধু। আর তার অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডিজিটাল বাংলাদেশের চারটি পিলার নির্ধারণের পর প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সাড়ে চার হাজার ইউনিয়নে নেটওয়ার্ক স্থাপনে বিটিসিএল সফল না হওয়ায় ইনফো সরকার-৩ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। তার পরামর্শেই একই খরচে এক হাজার ইউনিয়নের পরিবর্তে দুই হাজার ৬০০ ইউনিয়নে এ নেটওয়ার্ক স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে। এটাকে টেকসই করতে সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দেশের ইন্টারনেট সেবা সুনিশ্চিত করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  

তিনি বলেন, ইনফো সরকার-৩ প্রকল্পটি স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি পিলারকেই মজবুত করবে। নদীর তীর ও সমুদ্রবন্দরকে কেন্দ্র করে সভ্যতা গড়ে উঠেছে। এরপর রেল ও বিদ্যুৎকে নির্ভর করে গড়ে ওঠে শিল্প। কিন্তু কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের ফলে আমরা এখন গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছি। সামনে শতভাগ লেনদেন হবে ক্যাশলেস।  

ইন্টারনেট ছাড়া ইনক্লুসিভ উন্নয়ন সম্ভব নয় উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির যুগে ইন্টারনেট ব্যতীত জীবনযাপন অসম্ভব। টেকসই উন্নয়নে ইনফো সরকার সবক্ষেত্রেই শতভাগ সফল হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের খরচ হয়েছে এক হাজার ২০০ কোটি টাকা। ২০ হাজার কিলোমিটার ফাইবার টানা হয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসা ও বিনোদন সেবা চলছে।  

আইসিটি বিভাগের অধীন বিসিসি ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ শুরু করে। চুক্তির শর্ত মোতাবেক আগামী ২০ বছরের জন্য বিসিসি কোনো অর্থ ব্যয় করবে না। বিসিসি এ চুক্তির সার্বিক বিষয় তদারকি করবে। বিসিসি কর্তৃক বেসরকারি অংশীদারদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট রেভিনিউ গ্রহণ করা হবে। ফলে সরকার আর্থিকভাবে লাভবান হবে। চুক্তি অবসানের পর বিদ্যমান নেটওয়ার্কের সব যন্ত্রপাতি ও অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল সম্পূর্ণ সচল অবস্থায় বেসরকারি অংশীদারদের বিসিসির কাছে ফেরত দেবে। নিরবচ্ছিন্ন ডাটা ও ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে পিপিপি চুক্তিতে বাধ্যতামূলকভাবে ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ নেটওয়ার্ক আপটাইম এর বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে। ফলশ্রুতিতে গ্রামীণ পর্যায়ের জনগণ নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা পাবে।  

বিসিসির নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমারের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাবিদ শফিউল্লাহ, ফাইবার এট হোম এর চেয়ারম্যান মঈনুল হক সিদ্দিকী। পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. মুশফিকুর রহমান, ইনফো-সরকার (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রণব কুমার সাহা।  

বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২৩
এমআইএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।