ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ মিলনায়তনে ১৬ মে অনুষ্ঠিত হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচেতনতা কর্মসূচি। বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি এই কমর্সূচির আয়োজন করে, পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল।
দিনব্যাপী এই কর্মসূচির বিষয়সমূহে ছিল- ডিজিটাল বাংলাদেশ, আউটসোর্সিং, কম্পিউটারের নানাবিধ কলাকৌশল, মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন, গ্রাফিক্স, ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে আমাদের অগ্রযাত্রা, কুইজ, প্রযুক্তি সম্পর্কিত ভিডিওসহ তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কিত আলোচনা। বিসিএস পরিচালক মোস্তাফা জব্বার, তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মুহাম্মদ জালাল এবং জেসমিন জুঁই আলোচকের দায়িত্বে ছিলেন। আগত বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা আইসিটি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রশ্ন করে। এই প্রশ্নোত্তর পর্বে কুইজ প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয় ।
এ দিন সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরমেয়র হেলাল উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ কাজী মোস্তাফা জালাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ড. কাজী গোলাম মোস্তফা। বিসিএস পরিচালক মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে এবং বিসিএস পরিচালক ও কর্মসূচির সমন্বয়কারী মজিবুর রহমান স্বপনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান চলে। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির পরিচালক এবং বিসিএস কম্পিউটার সিটির সভাপতি এ.টি. শফিক উদ্দিন আহমেদ, এলিফ্যান্ট রোড কম্পিউটার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন এবং স্থানীয় সমন্বয়কারী বিসিএসের সদস্য আতিকুর রহমান ভূঁইয়া প্রমুখ। অতিথিদের বিসিএসের পক্ষ থেকে ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পৌরমেয়র বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রযুক্তি শিক্ষা সম্পর্কিত সচেতনতা কর্মসূচির আয়োজন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। তরুণ প্রজন্মকে প্রযুক্তিমুখী করতে এ ধরণের কর্মসূচির কোন বিকল্প নেই। তার বক্তব্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন-তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কিত এমন আয়োজনে পৌরসভার পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা থাকবে। এছাড়া বিসিএস এর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি স্বতন্ত্র কম্পিউটার মার্কেটের প্রস্তাবনায় সম্মতি দিয়ে তিনি ঘোষণা দেন পৌরসভা থেকে প্রয়োজনীয় আইন অনুসারে জায়গা বরাদ্দ দেওয়ার।
বিশেষ অতিথি অধ্যক্ষ কাজী মোস্তাফা জালাল বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির বিশ্বে শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার বিকল্প নেই। এ আয়োজন নি:সন্দেহে এখানকার শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞান আরোহনে উদ্বুদ্ধ করবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ড. গোলাম মোস্তাফা বলেন, পুঁথিগত বিদ্যা দিয়ে শিক্ষার্থীদের পরবর্তীতে ক্যারিয়ার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়না। তাই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি প্রযুক্তি শিক্ষা অর্জন করা আবশ্যক।
কর্মসূচি সম্পর্কে মোস্তাফা জব্বার বলেন, বিসিএস দেশের সর্বত্রে তথ্যপ্রযুক্তিকে ছড়িয়ে দিতে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সবশেষে কুইজ বিজয়ীদের পুরুস্কার বিতরণের মধ্যে দিয়ে এই কর্মসূচী অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ঘন্টা, ১৭ মে, ২০১২
সম্পাদনা: সিজারাজ জাহান মিমি