আসন্ন ২০১২-১৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির উপযোগী বাজেট বরাদ্দের দাবি জানানো হয়েছে।
২১ মে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) ও ইউএন ওমেন, বাংলাদেশ অফিসের উদ্যোগে সাংবাদিক সম্মেলনে এ দাবি উপস্থাপন করা হয়।
এ সম্মেলনে বক্তারা তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি খাতে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া, জাতীয় বাজেটে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়সহ শিক্ষা, কর্মসংস্থান, কারিগরি দক্ষতা উন্নয়ন, যুব উন্নয়ন খাতে নারীদের জন্য সুনির্দিষ্ট এবং পর্যাপ্ত বরাদ্দের দাবি জানানো হয়। এ ছাড়াও নারী সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করারও জোর দাবি জানানো হয়।
গ্রামের নারীদের দেশের সার্বিক উন্নয়নের ধারায় সম্পৃক্ত করার জন্য ইউনিয়ন স্তরে নারীর জন্য আলাদা তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য একটি উন্নয়ন প্রকল্পের দাবি ওঠে। এ লক্ষ্যে ‘ক্যাশ ফর এডুকেশন’ শীর্ষক নিরাপত্তা বেষ্টনিমূলক প্রকল্পটির আদলে ‘ক্যাশ ফর ট্রেনিং অন আইসিটি’ শীর্ষক একটি নিরাপত্তা বেষ্টনিমূলক প্রকল্প নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
এ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর। অবস্থানপত্র উপস্থাপন করেন বিএনপিএস’র পরিচালক ওমর তারেক চৌধুরী।
এ ছাড়াও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বিআইডিএস’র সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. প্রতিমা পাল মজুমদার, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের পরামর্শক ড. কানিজ এন সিদ্দিকী, নারীনেত্রী মাজেদা শওকত আলী, ইউএন ওমেন’র ন্যাশন্যাল প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাহিদ এম আহমেদ ও কো-অর্ডিনেটর (গর্ভন্যান্স ) খাজিদা খন্দকার বক্তব্য রাখেন।
রোকেয়া কবীর বলেন, মিডিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়লেও সিদ্ধান্ত গ্রহনকারী পদে কম সংখ্যক নারীই আছেন। তথ্য সম্প্রসারণে তৃণমূল নারীর তথ্য প্রয়োজনগুলো বিবেচনায় নিয়ে নতুন নতুন তথ্য প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। যেমন রেডিও-টিভিতে কৃষি, স্বাস্থ্য, দেশ-বিদেশের কর্মসংস্থান, নারীর অধিকার এবং মানবাধিকার সম্পর্কিত অনুষ্ঠান এবং মীনা প্রোগ্রামকে আরও ব্যাপকভাবে সম্প্রচারের উদ্যোগ নিতে হবে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন গণমাধ্যমে সাংবাদিক, সম্পাদক, অনুষ্ঠান পরিকল্পনাকারী ও নির্মাতা, প্রযোজকসহ সব ধরনের পদে নারীদের কোটা ও অ্যাফারমেটিভ অ্যাকশনের ভিত্তিতে নিয়োগ করা দরকার। গ্রামের বালিকা বিদ্যালয়গুলোতে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন এবং কম্পিউটার শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
উচ্চতর শিক্ষা, বিশেষ করে কারিগরি এবং প্রকৌশল শিক্ষায় নারীর প্রবেশের পথ সুগম করতে শুধু নারীর জন্য প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। এসব উদ্যোগের মধ্যে দিয়েই নারী সমাজের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
বাংলাদেশ সময় ১৮২৮ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১২
এমআইআর
সম্পাদনা : অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর/
সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর