এরই মধ্যে ২০১২-১৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। এবারে খাতভিত্তিক বাজেট উপস্থাপনায় তথ্যপ্রযুক্তি গুরুত্ব পেয়েছে।
এ ছাড়াও তরুণ প্রজন্মের কাছে সর্বাধিক জনপ্রিয় আউটসোর্সিং এবং সফটওয়্যার খাতের উন্নয়ন বরাদ্দকে এবারে একলাফে বাড়ানো হয়েছে। দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার থেকেই এ বাজেটের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। এমনটাই বলেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
এ মুহূর্তে দেশের বিশেষায়িত সফটওয়্যার উন্নয়ন কর্মবাজার যেমন আইসিটি ইনকিউবেটর, আইটি পার্ক, হাইটেক পার্ক এসব প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের বিষয়ে সুস্পষ্ট তাগিদ দেওয়ার কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
গত বাজেটে আইসিটি খাতে ১০৭ কোটি টাকার থোক বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ বছর ২০১২-১৩ অর্থবছরের জন্য ৩৬৭ কোটি বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তির মহাসড়কে ভারত এবং নেপালের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কাজ শুরু করেছে বলে বাজেট বক্তৃতায় উল্লেখ করা হয়।
আগামী ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় তরুণ প্রজন্মকে দেওয়া প্রতিশ্রুতির কথা ভেবে সরকার এরই মধ্যে ই-গভর্ন্যান্স প্রতিষ্ঠায় কাজ শুরু করেছে। এখনও সীমাবদ্ধতা থাকলেও অচিরেই তা কাটিয়ে উঠা সম্ভব।
এ প্রজন্মকে আরও সুদক্ষ ই-প্রশিক্ষিত করে সফটওয়্যার এবং আউটসোর্সিংয়ের মান বাড়াতে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে। এ ছাড়াও তরুণ আইসিটি উদ্যোক্তাদের আর্থিক এবং কারিগরি সহায়তা বাড়াতেও সরকার কাজ করবে।
২০১২-১৩ অর্থবছরের আইসিটি বাজেটে অবকাঠামোগত উন্নয়ন বাজেটে থোক বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। এরই মধ্যে সরকারি কাজে ই-টেন্ডার, ই-সেবা এবং ই-গভর্ন্যান্স প্রতিষ্ঠায় কাজ চলছে। স্বল্প পরিসরে হলেও ইউনিয়নগুলোতে তথ্যসেবার জন্য সরকারি উদ্যোগ কাজ করছে।
এরপর বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের আইসিটি আধুনিকায়নে ফলে ডিজিটাল সরকার বাস্তবায়ন হবে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ বিশ্বের জন্য আইসিটি খাতে বিনিয়োগের নির্ভরযোগ্য মডেল হয়ে উঠবে বলে বাজেটে বক্তৃতায় উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ সময় ১৯৫৪ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০১২