জাতীয় বাজেট ২০১২-১৩ ঘোষণার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এবং বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ) তাৎক্ষণিক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে।
এতে বেসিসের সভাপতি মাহবুব জামান বলেন, বেসিস থেকে অর্থমন্ত্রীর কাছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে জাতীয় আইসিটি নীতিমালা ২০০৯-এর নিরিখে যেসব প্রস্তাব (আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি ডেভেলপমেন্ট ফান্ড গঠনের জন্য ৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা, ১০ হাজার আইটি প্রফেশনাল তৈরির জন্য ক্রাশ ট্রেনিং প্রোগ্রাম বাবদ ৫০ কোটি টাকা, ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর থেকে ১৫ ভাগ ভ্যাট প্রত্যাহার এবং সফটওয়্যার ও আইটি সার্ভিসের জন্য ভ্যাটের আওতায় একটি আলাদা সার্ভিস কোড প্রবর্তন করা) পেশ করা হয়েছিল।
তবে বেসিসের শীর্ষ নেতারা জানান, বাজেটে ঘোষিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে গতবারের তুলনায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে উল্লেখযোগ্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এটি প্রশংসাযোগ্য। এর পরিমাণ ২৯৪ কোটি টাকা। তবে এ অর্থ বরাদ্দে সুনির্দিষ্ট কোনো খাত উল্লেখ করা হয়নি।
এ প্রেক্ষিতে বেসিসের প্রস্তাব এ বরাদ্দের সিংহভাগ আইসিটি শিল্প উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রকল্পে (সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, ট্রেনিং ইনস্টিটিউট) ব্যয় করার আহ্বান জানানো হয়।
বাজেটে কর ও শুল্ক প্রস্তাবের ব্যাপারে বেসিস থেকে হতাশা প্রকাশ করা হয়। বেসিস ছাড়াও সব আইটি ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন থেকে ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর থেকে ১৫ ভাগ ভ্যাট প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিলেও বাজেটে বিবেচনায় এর কোনোই প্রতিফলন পাওয়া যায়নি।
এ ছাড়া সফটওয়্যার এবং আইটি সার্ভিসের জন্য মূল্য সংযোজন করের একটি আলাদা সার্ভিস কোড ঘোষণার দাবি করা হয়। এ বিষয়েও বাজেটে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রতিফলন দেখা যায়নি। ফলে দেশের সবচেয়ে ক্রমবর্ধমান খাত ইন্টারনেট ভোক্তাদের জন্য আপাতত এ বাজেটে কোনো সুখবর নেই। এমনটাই অভিমত দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ সময় ২০২১ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০১২
সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর