ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

অনলাইন হুমকিতে শিশুরা

সিজারাজ জাহান মিমি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৩ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১২
অনলাইন হুমকিতে শিশুরা

সাইবার বুলিং। এ মুহূর্তে অনলাইন অপচর্চার সবচেয়ে ভয়ংকর চেহারা।

অনলাইনে একদল ব্যক্তি সাইবার বুলিং বা ভয় দেখানোর মতো অপকর্ম করছে। শিশুরাও এ ধরনের অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে।

এ বিষয়ের জরিপে উঠে এসেছে, অনলাইনে প্রতি ৫ জন শিশুর মধ্যে একজন শিশু সাইবার বুলিংয়ের আক্রমণের স্বীকার হচ্ছে। এদের বয়স ৮ থেকে ১১ বছরের মধ্যে।

বুলিং প্রতিরোধকারী প্রতিষ্ঠান ‘চ্যারিটি বিটবুলিং’ এর নতুন প্রতিবেদনে এ তথ্য বেড়িয়ে এসেছে। তারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৫’শ এর অধিক শিক্ষার্থীর মধ্যে এ জরিপ পরিচালনা করে।

জরিপে দেখা গেছে, এদের মধ্যে ২১ ভাগ শিশু এ আক্রমণের শিকার হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে একক বা দলগতভাবে ভয়ভীতি দেখানো হয়।

এ সময়টায় তারা বিশেষ করে বুলিংয়ের প্রচলিত মাধ্যমগুলো যেমন সামাজিক সাইটগুলো, গেমিং পণ্য এমনকি চ্যাটের মাধ্যমে টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে হুমকি দেখিয়েছিল। এ ছাড়া শিশুদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জরিপের উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, তারা বেশিরভাগ বুলিং অফলাইনে, মাঝেমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইনে বা ফোনে নিয়মিতভাবে এ চর্চা চলে।

এদিকে তাদের অধিকাংশ অভিভাবকরাই বাচ্চাদের প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে উদ্বিগ্ন। কম করেও অর্ধভাগ অভিবাবক যারা তাদের বাচ্চাদের ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর তদারকি করে আবার এক তৃতীয়াংশ অভিবাবকরা মোবাইলে অনলাইনে প্রবেশ করছে কি না তা খোঁজ করেন।

এ ছাড়া যেসব শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহার অনিয়ন্ত্রিত ছিল দেখা গেছে, তারা চলমান এ আক্রমণে দ্বিগুণ স্বীকার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

সাইবার বুলিং হতে শিশুদের মুক্ত করতে এ চ্যারিটি বিটবুলিংয়ের পরামর্শ অভিবাবক এবং শিশু উভয়েরই শিক্ষার মানোন্নয়ন সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো এবং মোবাইল সেবাদাতাদের আরও সক্রিয়ভাবে এখানে হস্তক্ষেপের আহবান জানিয়েছে।

বিটবুলিংয়ের মুখমাত্র সেরি আঢমি বলেন, এটা হচ্ছে আচারণগত পরিবর্তন। আমাদের পরামর্শ অবশ্যই সামাজিক মাধ্যমে অপব্যবহার নির্মূল এবং এর উন্নয়ন নিয়ে প্রতিবেদন করা। এ ছাড়া তারা কেন এ ধরনের কাজ করে থাকে, তার গোড়ার খবর বাহির করতে তাদের একসঙ্গে কাজ করা।

তিনি আরও বলেন, সারা বিশ্বে এ ধরনের সমস্যা রোধে দরকার সমন্বিত অংশগ্রহণ। নিজ নিজ অবস্থান থেকে অভিবাবক, সরকার এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্পূর্ণভাবে সংহত হতে হবে। অভিবাবকদের প্রয়োজন শিক্ষকদের সহায়তা এবং সরকার এ বিষয়ে বিশেষ প্রদক্ষেপের মাধ্যমে অনুকুল প্রভাব সৃষ্টি ছাড়াও অনেক কিছু করতে পারে।

বাংলাদেশ সময় ১০৪০ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১২
সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।