ঢাকা: দিন দিন দেশে এবং দেশের বাইরে মোবাইল ফোন অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের চাহিদা বাড়ছে। অনেকেই পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন মোবাইল ফোন অ্যাপ্লিকেশন।
সাধারণ অর্থে, যে কোনো মোবাইল ফোনের সফটওয়্যার প্রোগ্রামকেই আমরা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন বলি। মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন মূলত একটি কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনের লাইটার সংস্করণ। এটা যে কোনো ধরনের ফ্ল্যাশলাইট অ্যাপ্লিকেশন কিংবা মোবাইল ডিকশনারি অথবা গুগল ম্যাপস অ্যাপ্লিকেশনের মতো হতে পারে।
এ বছর টেক্সট মেসেজিং, স্মার্টফোনে কেনাকাটা, মোবাইল বিজ্ঞাপন, অবস্থান-ভিত্তিক পরিসেবা, সামাজিক নেটওয়ার্কিং অ্যাপ্লিকেশন, এম-কমার্স, মোবাইল ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং, মোবাইল পেমেন্ট এবং সরাসরি মোবাইলে টাকা ট্রান্সফার ইত্যাদি ক্ষেত্রকে সমৃদ্ধ করার কাজ এগিয়ে চলছে।
বর্তমানে মোবাইল ফোন অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টকে টেলিভিশন, কার নেভিগেশন, বিনোদন, কেনাকাটা, বাণিজ্য এবং ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে একীভূত করে নতুন ধারা তৈরী করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সৃষ্টি হচ্ছে মোবাইল ফোন অ্যাপ্লিকেশন ভিত্তিক নতুন নতুন কাজের ক্ষেত্র।
যেহেতু মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন আইটি প্লাটফর্মের ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে, সেহেতু একজন অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপারকে B-Tech (কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন ) অথবা গেটওয়ে/সার্ভার (WAP, XML, VXML, WTA), ব্রাউজার (WML, XHTML), ক্লায়েন্টস (Sms, E-mail, Chat) ইত্যাদি অভিজ্ঞতার সঙ্গে MCA ডিগ্রি থাকতে হবে। এছাড়াও ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী, পরিবর্তন সাপেক্ষে এবং মার্কেটে বিক্রি উপযোগী অ্যাপ্লিকেশন তৈরীর দক্ষতা থাকতে হবে।
কেউ যদি আইফোন কিংবা আইপ্যাডের জন্য অ্যাপ্লিকেশন তৈরী করতে চায় তাকে অবশ্যই C, C++ এবং অবজেক্ট অরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজে দক্ষ হতে হবে। যে এন্ড্রয়েড কিংবা ব্ল্যাকবেরি অপারেটিং সিস্টেমে কাজ করতে চায় তাকে অবশ্যই জাভা ল্যাংগুয়েজে দক্ষ হতে হবে। আমাদের দেশে অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের ওপর ছয় মাস কিংবা এক বছর মেয়াদী শর্ট কোর্স অফার করে থাকে।
চাকরি বাজারেও রয়েছে এর ব্যাপক চাহিদা। মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপাররা মাসে বিশ হাজার থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। এছাড়াও অনলাইনে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্স মার্কেট প্লেসে অনেক কাজ পাওয়া যায়। দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে আয় বাড়তে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, জুলাই ০৩,২০১২
সম্পাদনা: নজরুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর