বিশ্ব এখন গ্লোবাল ভিলেজ হয়ে উঠেছে। সঙ্গে বাড়ছে আর্থিক লেনদেন এবং বিনিময় চাহিদা।
এ বিষয়ে অবস্থান সুস্পষ্ট এবং দিকনির্দেশনা দিয়েই ব্যাংকার্স সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ, থাকরাল ইনফরমেশন সিস্টেমস এবং আইবিএম যৌথ উদ্যোগে ‘গ্লোবাল ব্যাংকিংয়ে আইটি নিরাপত্তা’ শীর্ষক সম্মেলনের আয়োজন করে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ড. আতিউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্যসচিব হেদায়েতউল্লাহ আল মামুন এবং এনসিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আমিন। এ সেমিনারে মূল বক্তব্য রাখেন আইবিএম সিকিউরিটি সলিউশনের বিজনেস ইফনিট হেড বৈদ্যনাথান লায়ার। এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকার্স সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের সভাপতি তপন কান্তি সরকার।
ব্যাংকিং খাতে আর্থিক লেনদেনের মতো স্পর্শকাতর বিষয় থাকে বলে এতে নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দাবি করে। তবে এ খাতে গ্রাহকের সচেতনতাই অন্যতম রাকবচ। এ নিরাপত্তার সঙ্গে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার এবং অর্থনৈতিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাপনা নির্ভরশীল।
ব্যাংকিং সেবায় ডেবিট, ক্রেডিট, ইলেট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার এবং ব্যাংকের নিজস্ব কম্পিউটার ব্যবস্থায় নিরাপত্তার বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত পার্সোনাল ডাটা ব্যাকআপ, ফিজিক্যাল সিকিউরিটি এবং সঠিক হিসাব নিরীার মাধ্যমে ব্যাংকিং গ্রাহকসেবায় তথ্যনির্ভর আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব।
প্রধান অতিথি ড. আতিউর রহমান বলেন, ডিজিটাল খাতে বাংলাদেশ যতটুকু এগিয়েছে তার মধ্যে ব্যাংকিং খাতের অবদান সবচেয়ে বেশি। আর্থিক লেনদেনের জন্য এখন আর খুব বেশি ব্যাংকনির্ভর হতে হয় না। অনলাইন কিংবা মোবাইল ফোনেই অনেক আর্থিক লেনদেন সুস্পন্ন করা যায়। এর মধ্যে এসব সুফলও সাধারণ মানুষ উপভোগ করতে শুরু করেছে।
তবে এ সেবা খাতে নিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। এজন্য ব্যাংকগুলোর কারিগরি বিভাগকে পারস্পরিক সহযোগিতা করতে হবে। গ্রাহকদেরও সচেতন করতে সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। তবেই নিরাপদ ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল সবাই উপভোগ করতে পারবেন।
ব্যাংকার্স সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের সভাপতি তপন কান্তি সরকার বাংলানিউজকে বলেন, এটা উদ্যোগের শুরু মাত্র। ডিজিটাল গ্রাহকসেবার মানোন্নয়ন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যাংকগুলো নিয়মিত তথ্য বিনিময় করবে। এ উদ্দেশ্যেই এ ফোরাম কাজ শুরু করছে। এ ছাড়াও গ্রাহক সচেতনতা বাড়াতেও এখন থেকে নিয়মিত প্রচারণায় ব্যাংকগুলো যৌথউদ্যোগে অংশগ্রহণ করবে।
বাংলাদেশ সময় ১৮৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০১২