ঢাকা: গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টরে জনসেন বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এর কারণ কর্মী ছাঁটাই করে কোম্পানিকে অধিকতর লাভজনক করার বেশ ‘সুনাম’ আছে জনসেনের।
গ্রামীণফোনের মূল প্রতিষ্ঠান টেলিনরের আন্তর্জাতিক অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে তিনি মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও পাকিস্তানে দায়িত্ব পালন করেছেন। এসব দেশে বেশ ‘সুনাম’ করেন। বিশেষ করে, মালয়েশিয়ায় কর্মী ছাঁটাই করে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন তিনি।
নরওয়েভিত্তিক বহুজাতিক কোম্পানি টেলিনরের ব্যবসা স্ক্যান্ডিনেভিয়া, পূর্ব ইউরোপ ও এশিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত। এশিয়া অঞ্চলে বাংলাদেশ, ভারত, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও পাকিস্তানে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায়িক নেটওয়ার্ক রয়েছে।
জানা গেছে, ২০১১ সালের মার্চে টরে জনসেন গ্রামীণফোনের নতুন সিইও হয়ে আসার পর থেকেই কর্মী ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু হয়। টরে জনসেনের ব্যয় সংকোচন নীতিই ছাঁটাইয়ের প্রধান কারণ। এর আগে তিনি যখন মালয়েশিয়াতে ছিলেন তখনও তাকে এই কাজে ব্যবহার করে টেলিনর। ১৯৭৪ সালে টেলিনর গ্রুপে যোগদান করেন তিনি।
জনসেন মালয়েশিয়ার প্রতিষ্ঠানের তার ঘনিষ্ঠ দু’একজনকেও গ্রামীণফোনে নিয়ে আসেন। যাতে তারা ব্যয় সংকোচন নীতির সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডীয় হারুন ভাট্টি। আর হারুন ভাট্টিই কর্মী ছাঁটাই কাজে মূল ভূমিকা পালন করছেন বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে তিন শতাধিক কর্মীকে কর্মচ্যুত করা হয়েছে। কর্মচ্যুত অনেক নারীই অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কারণে কর্মকর্তাদের কোপানলে পড়েন।
হারুন ভাট্টি গ্রামীণফোনে যোগ দেওয়ার আগে থাই মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি ‘ডিট্যাক’- এর মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তারও আগে তিনি ছিলেন পাকিস্তানি টেলিনরের পরিচালক।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১২
সম্পাদনা: আহমেদ জুয়েল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর