মেলওয়্যার আক্রমণের ব্যাপকতায় অনলাইন বিশ্ব আজ অস্থির। হ্যাকার স্প্যামারদের খেয়াল খুশী মত এখানে অনৈতিক হস্তক্ষেপ চলছে ফলে স্পর্শকাতর বিষয়গুলো নিয়ে প্রযুক্তিপণ্য ব্যবহারকারীরা থাকছে আতঙ্কের মধ্যে।
জনপ্রিয় গুগলের মোবাইল ওএস অ্যান্ড্রুয়েড প্লাটফর্ম এখন মেলওয়্যার আক্রমণের স্বীকারে। সুত্র মতে, ইয়াহু মেইলের মাধ্যমে অসৎ উদ্দেশ্যের নতুন অ্যান্ড্রুয়েড স্প্যাম মেলওয়্যার গোপনে প্রবেশ করে। যেসব স্প্যাম বার্তা অ্যান্ড্রুয়েড শেয়ার করে। অসংখ্য ব্যবহারকারী প্রলুব্ধকর মোবাইল বিল, নিয়ম অনুসারে এসএমএস এবং কল সিস্টেমে আগ্রহী হওয়ায় এই আক্রমণের স্বীকার হয়।
সফোসল্যাবের পর্যবেক্ষণে এ ঘটনা অনাবৃত হয়েছে। উদ্ঘাটিত তথ্য বলছে বটনেট নামের নতুন মোবাইল স্প্যাম মেলওয়্যার যার মুল উদ্দেশ্য মুদ্রারুপে চালু হওয়া। বিবরণে এছাড়াও বলা হয়েছে এটি নিজ স্বার্থে ব্যবহৃত ইয়াহু মেইলে অ্যান্ড্রুয়েড অ্যাপ।
নেকড সিকিউরিটির মন্তব্য, উৎসের কেন্দ্র হচ্ছে গুগলের অ্যান্ড্রুয়েড স্মার্টফোন অথবা ট্যাবলেট এসব পণ্যে এ বার্তা প্রদর্শিত হয়। এছাড়া সফোসল্যাবসের সবগুলো আলামত হিসেবে ইয়াহুর ফ্রি মেইল সার্ভিসের মাধ্যমে এসব বার্তা পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া স্প্যাম বার্তার ফুটারের শেষে কিছু ছবি স্পষ্ট করছে ‘ অ্যান্ড্রুয়েড পণ্যে পাঠানো ইয়াহু মেইলে আরও আছে প্রাণবন্ত অনেক ছবি, যেগুলো ব্যবহারকারীর ডাটা মূল্যস্ফীতি করে।
প্রথম দিকে ম্যালওয়্যারের কেন্দ্রস্থল কোনটি অর্থাৎ আক্রমণকৃত অ্যান্ড্রুয়েড পণ্য নাকি ইয়াহু মেইল সার্ভার সেটা ছিল অস্পষ্ট। কিন্তু সফোসল্যাবের পুন:পর্যবেক্ষণে নিশ্চিত হয়েছে ছবিগুলো প্রকৃতই ছিল। তাদের আশাবাদ ম্যালওয়্যারের মুল উৎস কোনটি এখন সুস্পষ্ট করা সম্ভব হবে।
মাইক্রোসফটের টেরি জিঙ্ক তার ব্লগে ইঙ্গিত দিয়েছেন, এ বটের উৎপত্তিস্থল আসলে প্রভাবিত অ্যান্ড্রুয়েড পণ্য। সে আরও জানান, এসব বার্তার লক্ষ্য অ্যান্ড্রুয়েড পণ্যে আবির্ভূত হওয়া কারণ অ্যান্ড্রুয়েড পণ্য দিয়েই এটি শুরু।
এদিকে গুগলের বৃবিতি, আমাদের পর্যেষণায় প্রমাণ হয়েছে বটনেট অ্যান্ড্রুয়েড সমর্থণ করেনা। এখন পর্যন্ত আমাদের বিশ্লেষণা অনুযায়ী পরামর্শ হচ্ছে স্প্যামাররা প্রভাবিত কমপিউটার এবং ভুয়া মোবাইল সাক্ষর ব্যবহার করে ইমেইল প্লাটফর্মের স্প্যাম-প্রতিরোধ প্রণালী পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে। আমাদের তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে এর বিস্তারিত অনুসন্ধানে। যেটাই ঘটুক না কেন, বটের পরিচালনা ও মুল উৎসের সন্ধান বিশেষজ্ঞদের থেকে আসা না পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে।
এখন শুধু বিশ্বাসযোগ্য মাধ্যম থেকে অ্যাপস ইন্সটল করতে ব্যবহারকারীদের পরামর্শ দিয়েছে গুগল ।
বাংলাদেশ সময় ১৯০০ ঘন্টা, জুলাই ৯, ২০১২