সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুগলের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মটোরোলা মবিলিটি থেকে প্রায় ৪ হাজার কর্মী বাদ পড়তে যাচ্ছে। মোবাইল ফোন প্রস্ততকারী এই প্রতিষ্ঠানের পুরো কর্মী সংখ্যার যা ২০ শতাংশ।
চলতি বছরের মে মাসে গুগল মটোরোলা মবিলিটিতে নিজ প্রতিষ্ঠানের সিল অন্তুর্ভূক্ত করে। যে জন্য গুগলকে ব্যয় করতে হয়েছিল ১২.৫ বিলিয়ন ডলার। প্রতিষ্ঠানের পেটেন্ট সংক্রান্ত বিষয়গুলোর প্রতি প্রথমত গুগলের লক্ষ্য থাকলেও চলতি সপ্তাহে নতুন এই কর্তা অধিক সংখ্যক কর্মী বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। যে ঘটনা কিনা মটোরোলাতে এটাই প্রথম।
প্রযুক্তি উন্নয়নের এ যুগে অ্যাপল, স্যামসাং’র মত বিশ্বের লড়াকু প্রতিষ্ঠানের সাথে মাঠে চরম প্রতিযোগিতা করতে হয়েছে মটোরোলাকে। কিন্তু চরমভাবে হার মানতে হয়। এখন পরিচালনাকারী নতুন মালিক গুগল চাইছে অনুন্নত হ্যান্ডসেটগুলোর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে প্রতিযোগিপূর্ণ করে তৈরি করতে।
ডেনিস উডিস মটোরোলার প্রধান নির্বাহী যিনি জানান, গুগলের ইচ্ছা ছিল ঠান্ডা মাথায় পুনরায় মটোরোলা পণ্য প্রস্তত করতে। কিন্তু আমরা এখন স্মার্টফোন ব্যবসার ব্যাপারে উদ্বীগ্ন। তিনি আরো বলেন সারা বিশ্ব আজ তারহীন পণ্য আনতে ব্যস্ত। কারণ এ ধরনের পণ্য ব্যবহারকারীদের মধ্যে চরম সাড়া ফেলেছে। তাই গুগলের জন্য এমন উদ্যোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে এজন্য গুগলকে গ্রাহকের চাহিদার দিকগুলো ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। ডেনিস সেসময় আরেকটি বিষয় উল্লেখ করেন, যেসব দেশে এই ফোন কোম্পানি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানে ব্যবসা করা হবেনা।
বিশ্বব্যাপী এই প্রতিষ্ঠানের সর্বমোট অফিসের সংখ্যা ৯৪ টি। কর্মী কমানোর এই সিদ্ধান্তে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিরে দুই তৃতীয়াংশ মানুষ চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। এছাড়া যুক্তরাজ্যে মোট কর্মী ২৫০ জন সেখান থেকে কতজন বাদ পড়ছে সে বিষয়ে কিছু জানায়নি।
এদিকে গুগলের বিনিয়োগকারীরা কঠিনভাবে নজর রাখবে মটোরোলা পণ্যের মূল্য নির্ধারণের বিষয়ে কারণ মূল্যের বিষয়টি ছিল তাদের কাছে বিভ্রান্তকর। গুগলের চাওয়া ছিল মালিকানা পাওয়া এ প্রতিষ্ঠানের ১৭ হাজার পেটেন্ট এছাড়া আরো সাড়ে ৭০০ ঝুলন্ত পেটেন্ট হাতে নেওয়া। যাতে করে প্রযুক্তি বিশ্বের অন্যতম বৈশিষ্ট্যর সাথে এগুলোকে কাজে লাগানো যায়। নীতিগত বৈধ চাপ প্রয়োগের ফলে অ্যপলের মত প্রতিদ্বন্দীদের বিপক্ষে দাড়ানো সম্ভব হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০১২ ঘন্টা, ১৫ জুলাই, ২০১২