নবনির্বাচিত বেসিস কার্যনির্বাহী পরিষদ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এতে নেতৃত্ব দেন বেসিস সভাপতি ফাহিম মাশরুর।
এ আলোচনায় বেসিস প্রতিনিধিদল সফটওয়্যার ও আইটিইএস শিল্পোন্নয়নে বিশেষ করে ই-পেমেন্ট, বৈদেশিক বিনিময় এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অর্থায়ন ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে বলে জানানো হয়।
এ সময় বেসিস প্রতিনিধিদল বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন, ই-কমার্স লেনদেন ও আইটি কোম্পানিগুলোর জন্য ইইএফ এবং এসএমই ঋণের মত আর্থিক সুবিধাদির বিষয়ে কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এতে বেসিস প্রতিনিধিদল সফটওয়্যার আমদানির ক্ষেত্রে ঋণপত্রভিত্তিক (এলসি) মূল্য পরিশোধ সুবিধা চালুর প্রস্তাব করেন যাতে এ খাতে প্রকৃত আমদানির তথ্য সংরক্ষণ করা যায়।
ই-কমার্স ভিত্তিক লেনদেন সম্প্রসারণে বেসিস প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি নীতিমালা বা নির্দেশনা প্রদানের অনুরোধ জানান যাতে সর্বোচ্চ ২ ভাগ লেনদেন ফি ধার্য করা যেতে পারে। সম্প্রতি বিটিআরসি কর্তৃক অনলাইনে মোবাইল/ইন্টারনেট ফি পরিশোধের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে গভর্নরের মনোযোগ আকর্ষণ করেন। বিটিআরসির সঙ্গে সমন্বয়পূর্বক বিষয়টি দ্রুত সমাধানের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
বেসিস প্রতিনিধিদল ইইএফ এর অনুমোদন প্রক্রিয়া অত্যন্ত ধীরগতি উল্লেখ করে অনুমোদন ও অর্থ ছাড়করণ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানান। ড. আতিউর রহমান প্রক্রিয়াটি দ্রুত ও সহজতর করার লক্ষ্যে নীতিগত পরিবর্তনের আশ্বাস দেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের জাইকা প্রকল্পের আওতায় আইটি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এসএমই ঋণ সুবিধা প্রদানে বিশেষ বরাদ্দ রাখার জন্যও বেসিস বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ করে।
অন্য সবার মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. নাজনিন সুলতানা, বৈদেশিক বিনিময় বিভাগের নির্বাহী পরিচালক আহসান উল্লাহ, পরিশোধ বিভাগের নির্বাহী পরিচালক দাশগুপ্ত অসীম কুমার এবং বেসিসের মহাসচিব রাসেল টি আহমেদ, সহ-সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, যুগ্ম মহাসচিব এম রাশিদুল হাসান, পরিচালক শাহ ইমরাউল কায়ীশ এবং নাভিদুল হক উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময় ১৬২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১২
সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর