মাইক্রোসফট উইন্ডোজের অপারেটিং সিস্টেমের সঙ্গে সবারই কম বেশি পরিচিতি আছে। বিশেষ করে বাংলাদেশে মাইক্রোসফট উইন্ডোজের ব্যবহারকারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
কিন্তু ২০১৩ সাল থেকে আর বিনামূল্যে উইন্ডোজ ব্যবহারের সুযোগ থাকছে না। যদিও এখনও বড় বড় প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকিরা বিনে পয়সার পাইরেটেড কপি ব্যবহার করছে।
কিন্তু ২০১৩ সালের মধ্যভাগ থেকে এ সুযোগ আর থাকছে না। মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ব্যবহারে দিতে হবে বড় অঙ্কের সেবাব্যয়। কিন্তু আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে তথ্যপ্রযুক্তির আছে বিশাল সম্ভাবনা এখানে এ ধরণের স্বিদ্ধান্ত হুমকিস্বরুপ।
তাই বলে থেমে থাকার তো কিছু নেই। আমাদের আছে ওপেন সোর্সের বিশাল ক্ষেত্র। ব্যবহার করতে পারি মুক্ত অপারেটিং সিস্টেম লিনাক্স। এ মুহূর্তে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের ব্যাপক জনপ্রিয়তা এবং চাহিদা আছে।
১৯৯১ সালে লিনাস টরভান্ডসের হাত ধরে আসে লিনাক্সের প্রথম সংস্করণ (০.০১)। লিনাক্সের উৎপত্তি মূলত মেইনফ্রেম বা মিনি কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম ইউনিক্স থেকে।
যেহেতু লিনাক্স মুক্ত অপারেটিং সিস্টেম তাই এর সোর্স কোড উন্মুক্ত এবং যে কেউ এটার সোর্স কোড পরিবর্তন করে অপারেটিং সিস্টেমকে উন্নত করতে পারবেন। মাইক্রোসফট উইন্ডোজের চেয়ে এর সুবিধা কোনো অংশেই কম নয়।
তবে নবীন ব্যবহারকারীদের প্রথম প্রথম একটু অসুবিধা হবে। কারণ এর ফিচারগুলো উইন্ডোজের সঙ্গে খুব একটা মিলবে না। তবে ভয়ের কিছু নেই। লিনাক্সে এমন কিছু সুবিধার ফিচার আছে যা মাইক্রোসফট উইন্ডোজেও নেই।
যারা নতুন তারা একই সঙ্গে এক কম্পিউটারে উইন্ডোজ এবং লিনাক্স ব্যবহার করতে পারবেন। এতে প্রয়োজনে উইন্ডোজ এবং ধীরে ধীরে লিনাক্সে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারবেন।
অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে কাজ করার জন্য লিনাক্সের বিকল্প নেই। লিনাক্সের অনেকগুলো সুবিধার মধ্যে লিনাক্সে অনেক বেশি ফাইল সিস্টেম সমর্থন করে। উইন্ডোজে যে গ্রাফিক্যাল ডেস্কটপ দেখা যায়, তাই এর একমাত্র ডেস্কটপ সিস্টেম।
অন্যদিকে লিনাক্সে কেডিই, জিনোমি ছাড়াও নামীদামী অনেক ডেস্কটপ পাওয়া যায়। যা বিভিন্ন ধরনের ইউজারের কথা বিবেচনা করে তৈরি করা হয়েছে। এদের গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেইসগুলো উইন্ডোজকেও হার মানায়।
এ মুহূর্তে লিনাক্সের বেশ কয়েকটি ডিস্ট্রিবিউশন পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি পরিচিত উবুন্টু, ফেডোরা, লিনাক্স মিন্ট। এ ছাড়াও আছে লিনাক্স রেড হ্যাট, লিনাক্স ম্যানড্রিবা, সুসে লিনাক্স, ক্যালড্রেরা ওপেন লিনাক্স, স্ল্যাকওয়্যার লিনাক্স, কোরেল লিনাক্স, টার্বোলিনাক্স, ডেবিয়ান লিনাক্স ও প্লাগ অ্যান্ড প্লে লিনাক্স। পরবর্তী ফিচারে লিনাক্সের বিভিন্ন ডিস্ট্রিবিউশন নিয়ে আলোচনা করা হবে।
বাংলাদেশ সময় ১৭৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১২
সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর