ঢাকা: আঞ্চলিক স্মার্ট উদ্যোক্তাদের খুঁজে পেতে ও তরুণ উদ্যোক্তাদের সম্ভাবনার বিকাশের লক্ষ্যে রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্রামীণফোনের স্টার্টআপ ইনোভেশন প্ল্যাটফর্ম জিপি এক্সিলারেটর ‘জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তা’ বুটক্যাম্প।
মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং সম্ভাবনাময় তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নতুন ব্যবসায়িক উদ্যোগ নেওয়ায় আগ্রহী তরুণদের দক্ষতা অর্জন, নেটওয়ার্কিং ও ফান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে সহযোগিতা এবং দিকনির্দেশনা প্রদানের লক্ষ্যে এই বুটক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে।
বুটক্যাম্পে প্রায় ২০০ জন উদ্যোক্তা অংশ নেন। দেশব্যাপী ২০টি অঞ্চলে ধাপে ধাপে এই রিজিওনাল বুটক্যাম্পের আয়োজন করা হচ্ছে।
জেলা শহরের একটি হোটেলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান রিনকু।
আরও উপস্থিত ছিলেন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহা. আলম আলী, আলাস্কা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান ও গ্রামীণফোনের কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সমাজ সংগঠক, স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠাতা, জিপি এক্সিলারেটর (জিপিএ) সদস্য, সংশ্লিষ্ট শিল্পের বিশেষজ্ঞ ও প্রশিক্ষকগণসহ খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব ও অংশীজনরাও উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন গ্রামীণফোনের জিপি এক্সিলারেটর প্রোগ্রাম লিড মুহাম্মদ সোহেল রানা।
অনুষ্ঠানটি দুটি ভাগে বিভক্ত ছিল। দিনের প্রথম ভাগে ডিজাইন থিংকিংয়ের কলাকৌশল অর্থাৎ ডিজাইন থিংকিং কী -এর ধাপগুলো কী কী, প্রোডাক্ট টেস্টিং, মার্কেট রিসার্চ কীভাবে করতে হয়, ফিন্যান্সিয়াল মডেলিং কীভাবে করতে হয়, ইনভেস্টমেন্টের জন্য পিচ ডেক কীভাবে বানাতে হয় এই বিষয়গুলোর ওপরে বিস্তারিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বুটক্যাম্পের চূড়ান্ত পর্ব অর্থাৎ দ্বিতীয় ভাগে আইডিয়া পিচিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন আইডিয়া উপস্থাপন করা হয়। যার মধ্যে স্থানীয় সমস্যা সমাধানকে সর্বোচ্চ গুরুত্বারূপ করা হয়।
গ্রামীণফোনের জিপি এক্সিলারেটর প্রোগ্রাম লিড মুহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্মার্ট ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তুলতে গ্রামীণফোন সংকল্পবদ্ধ। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে আগামী দিনগুলোতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে দেশের তরুণ ও সম্ভবনাময় স্মার্ট উদ্যোক্তারা। তাই আঞ্চলিক স্মার্ট উদ্যোক্তারা যেন তাদের উদ্ভাবনী ধারণা বাস্তবায়নের সুযোগ পান, সেই লক্ষ্যেই আমরা এই বুটক্যাম্পের আয়োজন করেছি। এতে তরুণদের কাছ থেকে যে সাড়া পাওয়া গেছে তা অভাবনীয়। আমি বিশ্বাস করি এই বুটক্যাম্প তাদের অগ্রগতির পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করবে।
২০১৫ সালে কার্যক্রম চালুর পর থেকে দেশের স্টার্টআপ খাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে জিপি এক্সিলারেটর। এটি ৫০টি স্টার্টআপের মাধ্যমে ৫ লাখ মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে। একই সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে জিপি এক্সিলারেটর।
অনুষ্ঠানে বিজয়ী দলকে ১ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়। স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড জিপি এক্সিলারেটরের স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে সহযোগিতা করছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪০ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০২৪
এমআইএইচ/এসআরএস