ঢাকা: কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশব্যাপী সহিংসতার কারণে সারা দেশে মোবাইল ইন্টারনেট তথা ফোরজি প্রায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৭ জুলাই) রাত থেকে একটি অপারেটরের শতভাগ ও অন্য অপারেটরগুলোর ৫০ শতাংশ বন্ধ করে রাখা হয়।
মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমোসহ অন্যান্য অ্যাপে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। ওয়েবসাইটগুলোতেও প্রবেশ করতে পারছেন না ব্যবহারকারীরা। তবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সচল আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বুধবার থেকে সারা দেশে মোবাইল ইন্টারনেট তথা ফোরজি প্রায় পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর আগে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় আংশিকভাবে বিভিন্ন স্পটে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
একটি মোবাইল অপারেটরের একজন প্রতিনিধি জানান, গ্রামীণফোনের শতভাগ এবং রবি ও বাংলালিংকের ৫০ শতাংশ ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে। হঠাৎ প্রয়োজনীয় এলাকায় ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে অপারেটরদেরও জানানো হচ্ছে না। সব নিয়ন্ত্রণ করছে সরকার।
এর আগে মোবাইল অপারেটর ও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ইন্টারনেট ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রচারণার পাশাপাশি গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এ কারণে বিভিন্ন উপায়ে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। ফোরজি বন্ধ থাকায় ফেসবুকে ছবি বা ভিডিও আপলোড কিংবা লাইভ করা যায় না।
একজন কর্মকর্তা জানান, নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসির নির্দেশনা পেলে এক সেকেন্ডের মধ্যেই সেই সব এলাকায় মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়া টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তাৎক্ষণিকভাবেই ফোরজি ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিজস্ব জ্যামার ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হচ্ছে। সাধারণত কোনো অভিযানের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এ জ্যামার ব্যবহার করে থাকেন।
মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানাননি।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২৪
এমআইএইচ/আরবি