ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

দুর্নীতি প্রতিরোধে আইসিটি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০১২
দুর্নীতি প্রতিরোধে আইসিটি

ঢাকা: দুর্নীতি দমনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তবে যত ধরনের পদ্ধতি গ্রহণ করা হোক না কেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া দুর্নীতি দমন সম্ভব নয়।



‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

মঙ্গলবার রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), ইউএস-এআইডি, প্রগতি ও এমআরডিআই যৌথভাবে এ গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে।

গোলটেবিল আলোচনার শুরুতেই অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে দুর্নীতি প্রতিরোধের বিভিন্ন খুঁটিনাটি দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।

আলোচনায় বিজ্ঞান ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, “যেকোনো কাজে শুধু জ্ঞান দিয়ে কাজ হবে না। এজন্য মানুষকে যুক্ত করতে হবে, নতুবা কোনো কাজেই সাফল্য আসবে না। ”

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বলেন, “তথ্য অধিকার আইন দুর্নীতি কমিয়ে আনা ও প্রতিরোধে একটি বড় অর্জন। ”

 সরকারি অফিসগুলোতে তথ্য চেয়ে তা না পাওয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, “এক্ষেত্রে বড় সমস্যা হলো আমাদের কাছে তথ্য নেই। তথ্যভাণ্ডার না থাকায় এই সমস্যা হয়েছে। এজন্য তথ্য ভাণ্ডার গড়ে তুলতে হবে। ”

দুদকের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, “মানুষের মানসিকতা দুর্নীতি প্রতিরোধে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সেই সঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। ”

তিনি বলেন, বছরে ১০০ জন লোককেও যদি দুর্নীতির দায়ে শাস্তি দেওয়া যায় তবে তা উদাহরণ হয়ে থাকবে। ”

অনুষ্ঠানে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ওসমান ফারুক বলেন, তথ্য অধিকার আইন দুর্নীতি দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সেই সঙ্গে ছবিযুক্ত জাতীয় পরিচয়পত্র, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও স্বাক্ষর যুক্ত ডাটাবেস দুর্নীতি কমাতে ভূমিকা রাখতে পারে। তবে যত ব্যবস্থাই নেওয়া হোক না কেন রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া দুর্নীতি দমন করা সম্ভব নয়।

হাসানুল হক ইনু এমপি বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খুচরা দুর্নীতি দমনে সহায়ক হতে পারে। তবে বড় ধরনের দুর্নীতিতে এটি কতটুকু সহায়ক হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

তথ্য কমিশনার ড. সাদেকা হালিম বলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে সরকারি দফতরগুলো ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করা হয়।

তিনি বলেন, “যতক্ষণ না আমরা বাজেট পাবো ততক্ষণ আমরা কতটুকু স্বাধীন তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ”

তথ্য পাওয়ার অধিকারের তুলনা করতে গিয়ে ভারতের উদাহরণ দিয়ে বলেন, “সোনিয়া গান্ধী কত টাকা আয়কর দেন তা জানতে চেয়েছেন একজন নাগরিক, এ ধরনের ঘটনা রয়েছে। ”

সাংবাদিক আবদুল কাইয়ুম বলেন, “সবকিছু ডিজিটাল হলে দুর্নীতি কিছুটা কমবে। তাই সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলো যাতে তাদের সবকিছু কম্পিউটারাইজড করে সে ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশনেরও দৃষ্টি দেওয়া উচিত। ”

ইউএসএআইডির কান্ট্রি ডিরেক্টর রিচার্ড গ্রিন বলেন, তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি দুর্নীতি প্রতিরোধে শক্তিশালী উপাদান হিসেবে কাজ করতে পারে।

কেএম খালিদ এমপি বলেন, “যখন দেশের অর্থমন্ত্রী বলেন, তিন/চার হাজার কোটি টাকার ঋণের অনিয়ম বড় কোনো টাকা নয়, তখন একজন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য হছের আমাদের হতাশ হতে হয়। ”

গোলটেবিল আলোচনা অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, শাহীন আনাম, বেসিসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামীম আহসান, কয়েকটি জেলার ডিসিসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১২
আইএইচ/সম্পাদনা: রানা রায়হান, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।