ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

‘মাল্টিমিডিয়া প্রযুক্তি ও সৃজনশীল শিল্প সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার

সিজারাজ জাহান মিমি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১২
‘মাল্টিমিডিয়া প্রযুক্তি ও সৃজনশীল শিল্প সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার

বর্তমান প্রযুক্তিশিক্ষায় মাল্টিমিডিয়া টেকনোলজি অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ আর্টস একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশ্বব্যাপী এর চাহিদা অত্যন্ত বেশি ।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেও জনপ্রিয়তা ও প্রসার হচ্ছে মাল্টিমিডিয়ার।

দেশের শিক্ষামাধ্যমে সম্প্রতি বিষয়টি সংযোজন করেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ড্যাফোডিল। শিক্ষার্থীদের কাছে মাল্টিমিডিয়া টেকনোলজি অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ আর্টসের প্রয়োজনীয়তা, বর্তমান ও আগামীর সম্ভাবনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সম্যক জ্ঞান দানের লক্ষ্যে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাল্টিমিডিয়া টেকনোলজি অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ আর্টস বিভাগ সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ড্যাফোডিল উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, অমিত সম্ভাবনাময় এ বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন সংযোজন।
এতে একজন ব্যবহারকারী প্রযুক্তির সঙ্গে তার মেধা ও সৃজনশীল ভাবনা যোগ করে আনন্দ বিনোদনের নান্দনিক সব শিল্পকর্ম তৈরি করে। যথাযত শিক্ষা লাভ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মাল্টিমিডিয়া শিল্পে যারা কাজ করছে তারা বড়দের থেকে কিছু প্রশিক্ষণ নেয় এরপর হাতে-কলমে কাজ করে শিখছে। যা পেশাদারিত্বের জন্য যথেষ্ট নয়। তাই পেশাদার মনোভাবীদের এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ ও উপযুক্ত শিক্ষাগ্রহনে ভালোভাবে বিবেচনা করতে হবে। আগে মাল্টিমিডিয়া বা অ্যানিমেশনের মত দরকারী বিষয় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থায় যুক্ত না থাকায় ভারতের ব্যাঙ্গালোর, পুনে, সিলিকন ভ্যালিতে যেতে হত শিক্ষার্থীদের । প্রচুর পরিমান টাকা ব্যয়ের সাধ্য যাদের তারাই কেবল সুবিধাটি নিতে পারত। আজ সেই বাধা নেই। দেশেই এর উন্নত শিক্ষা অর্জনের সুযোগ করে দিয়েছে ড্যাফোডিল।

অন্য বক্তারা মাল্টিমিডিয়ার ক্রমবিকাশ ও বিশ্ববাজারে এর চাহিদার দিকগুলো  তুলে ধরেন। দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে এ শিল্পের গুরুত্ব প্রচুর যে জন্য সরকারি সহোযোগিতা কামনা করেন তারা। |

কর্মক্ষেত্রের সুবিধা সম্পর্কে বলা হয় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাশেষে বিভিন্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান, মিডিয়া হাউস, টিভি চ্যানেল, অ্যানিমেশন ও কার্টুন চলচ্চিত্র, চলচ্চিত্রের বিশেষ এফেক্ট, বিজ্ঞাপনী সংস্থা, সফটওয়্যার শিল্পে তারা যোগ দিতে পারে। প্রকৃত বিশেষজ্ঞরা নিজ গুণাবলীর মাধ্যমে দেশে এবং বিদেশে ব্যাপক চাহিদা তৈরি করতে পারবে।

মাল্টিমিডিয়া টেকনোলজি অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ আর্টসের বিভাগীয় প্রধান জায়েদুল করিম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন আবুল কালাম সামছুদ্দিন। বিশেষ অতিথি হসিাবে উপস্থিত ছিলেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. সৈয়দ আকতার হোসেন।

অন্যদের মধ্যে ছিলেন কার্টূন ম্যাগাজিন উম্মাদ এর সম্পাদক আহসান হাবিব ও অগ্নিরথ স্টুডিও’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের কাওলিন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৩০ ঘন্টা, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।