যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে বহিরাগত প্রযুক্তি পারদর্শীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। বিখ্যাত সফটওয়্যার জায়েন্ট মাইক্রোসফট চাইছে বিদেশি কর্মী সংখ্যা বাড়াতে।
তবে চরম সুযোগটি পাকা হতে প্রয়োজন দেশটির সরকারি অনুমোদন। মাইক্রোসফটের গবেষণাগার রেডমন্ড থেকে বিষয়টি নিয়ে সরকারের কাছে বহিরাগতদের প্রবেশ অনুমতির বিষয়ে আবেদন করা হয়েছে। এ ছাড়া যথেষ্ট অর্থপ্রস্তাব করেছে তারা।
প্রতিষ্ঠানের প্রধান কৌসুলি ব্রাড স্মিথের পরামর্শ নতুন এইচ-ওয়ানবি ভিসা কর্মসূচির আওতায় ভাড়াকৃত প্রত্যেক বিদেশিদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রর প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারকে ১০ হাজার ডলার পরিশোধ করতে পারবে । এ ছাড়া কাজের জন্য গ্রিনকার্ড প্রতি ১৫ হাজার ডলার দেওয়া হবে।
স্মিথ প্রস্তাবটি করে গত ২৭ সেপ্টেম্বর। যুক্তরাষ্ট্রে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গাণিতিক শিক্ষামূলক বিবরণীতে তার এ সিদ্ধান্তের কথা জানায়। অনুমান অনুযায়ী বর্তমানে মাইক্রোসফটের ৬ হাজার কর্মী দরকার। এসব কাজের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা যথেষ্ট দক্ষ নয়। এ কাজের মধ্যে আছে প্রোগ্রামার এবং কম্পিউটার বিজ্ঞানী।
এদিকে ইনফরমেশন উইক ডটকমে স্মিথ জানিয়েছে, আমরা অপর্যাপ্ত কাজ তৈরি করছি। এখানে ব্যাপক ঘাটতি আছে। বিশেষ ইঙ্গিত করে বলেন, এ ধরনের সমস্যার মুখে শুধু প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরাই নয়। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশলী এবং গাণিতিক মাধ্যমে দক্ষতার প্রয়োজনস্বরুপ সে দেশের অর্থনীতি প্রতিবছর ১ লাখ ২০ হাজার কাজের সৃষ্টি করে। কিন্তু দেখা গেছে, এখানকার মহাবিদ্যালয়গুলো থেকে ডিগ্রীপ্রাপ্ত সংখ্যা চাহিদার মাত্র এক-তৃতীয়াংশ পূরণ করে।
গেল বছর সানফ্রানসিসকোতে অনুষ্ঠিত সিইএস ২০১১’তে জিই সিইও জেফরে ইমেল্ট তাচ্ছিল্য করে বলেছিলেন, প্রতিবছর চীনে ১৫ লাখ প্রকৌশলী ডিগ্রীপ্রাপ্ত হয়। সেখানকার ইলেকট্রিক্যাল প্রকৌশলীর চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঠিক এখনো প্রচুর বিশেষজ্ঞ আছে। কিন্তু চরমভাবে সমতা হারাচ্ছে। আমি মনে করি, ভাল উপদেশ সবসময়ই ভাল। কিন্তু এ পথে থাকাটা উচিত নয়।
প্রতিষ্ঠানটি মনে করছে এইচওয়ান-বি ভিসা এবং গ্রিনকার্ডের জন্য সরকারকে পরিশোধ করা যৌক্তিক। আর এ পদ্ধতিতে এগোনো উচিত। ফলে চাহিদা অনুপাতে কর্মীর যোগান নিশ্চিত হবে।
বাংলাদেশ সময় ১১৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১২
সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর