দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রধান তথ্যপ্রযুক্তি কর্মকর্তাদের নিয়ে যাত্রা শুরু করছে সিটিও ফোরাম (চিফ টেকনোলজি অফিসার্স ফোরাম)। ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সিটিও ফোরামের এডহক কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন তপন কান্তি সরকার। তিনি বলেন, দেশের সব প্রতিষ্ঠানে তথ্য ও প্রযুক্তি একটি বড় ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু এ ভূমিকার নেপথ্য মানুষগুলো সব সময়ে আড়ালেই থেকে যাচ্ছেন। আমরা সিটিও ফোরামের মাধ্যমে দেশের তথ্য ও প্রযুক্তিখাতকে যেমন এগিয়ে নিতে চাই, তেমনি প্রযুক্তির মানুষগুলোকেও সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে চাই।
আগামীতে এ দেশে গার্মেন্ট খাতের পর তথ্য ও প্রযুক্তিখাতে সবচেয়ে বেশি বৈদিশিক মুদ্রা আয় হবে। এরই মধ্যে ফ্রিল্যান্সারদের মাধ্যমে দেশে প্রচুর বৈদিশিক মুদ্রা আসতে শুরু করেছে। আমরা এ খাতকে আরো বেশি প্রসারিত করতে চাই।
এ ছাড়া এ সংগঠনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। ভবিষ্যতে এ দেশেই সার্ক সিটিও সম্মেলন করা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ৬ অক্টোবর শনিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সিটিও ফোরামের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমের ঘোষণা করা হয়।
সবাই শুধু ঢাকামুখি নিজেদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। আমরা ক্রমান্বয়ে ঢাকার বাইরের তথ্য প্রযুক্তিবিদদের নিয়েও কাজ করার প্রয়াস চালাচ্ছি। বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, সেমিনার, সিম্পোজিয়ামের মাধ্যমে এদেশে তথ্য ও প্রযুক্তির রাস্তা সুগম করে দেওয়াই হবে সিটিও ফোরামের সব প্রয়াস। কথাগুলো বলেন তপন কান্তি সরকার।
সিটিও ফোরাম সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ ধরনের ফোরাম তথ্য ও প্রযু্ক্তিখাতকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। বাংলাদেশেও এ ফোরামের মাধ্যমে ‘নলেজ শেয়ারিং’ ছাড়াও তথ্য ও প্রযুক্তিনির্ভর বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আয়োজিত অনুষ্ঠাতে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
জিপিআইটির পৃষ্ঠপোষকতায় এ অনুষ্ঠানের সঙ্গে ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সিটিও ওয়াসি নোমান ও সিটিও ফোরামের সহ-সভাপতি নাভেদ ইকবাল, সিটিও ফোরামের সেক্রেটারি সৈয়দ মাসুদুল বারী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল রায়, তারিক মুসাদ্দিক বরকতুল্লাহ এবং কোষাধ্যক্ষ ইজাজুল হক।
বাংলাদেশ সময় ১৯৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১২
সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর