ঢাকা: জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ইএটিএল মোবাইল অ্যাপস নির্মাণ প্রতিযোগিতার গ্রান্ড ফিনালে। শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলের উইন্টার গার্ডেনে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব শেষ হয়।
আইটি (তথ্যপ্রযুক্তি) ও উন্নয়ন খাতে কর্মরত উজ্জ্বল প্রতিভূদের খুঁজে বের করা এবং তাদের কাজে উৎসাহ প্রদান করতেই এ ধরনের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
২০১২ সালের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো মোবাইল অ্যাপস স্টোর এর কার্যক্রম শুরু এবং অ্যাপস নির্মাণ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। প্রতিভা অনুসন্ধানের এ প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এনজিও এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ১৮৮টি দল অংশ নেয়।
এসব প্রতিযোগীর মধ্য থেকে শীর্ষ দশজনকে নির্বাচিত করে প্রতিযোগিতার জুরি বোর্ড। প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ‘কোর্স মেট’, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর ‘ফাইন্ড ফর মি’ এবং মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’র ‘সেভ লাইফ’ প্রকল্পগুলোকে বিজয়ী ঘোষণা করে পুরস্কার হিসেবে যথাক্রমে ৫ লাখ, ২ লাখ এবং ১ লাখ টাকা তুলে দেয়া হয়।
ইএটিএল’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর এমএ মুবিন খানের সভাপতিত্বে আয়োজিত গ্রান্ড ফিনালে ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান হিসেবে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা ফারুক মাহমুদ। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য, পরিবার ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলি এবং ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তফা ফারুক মাহমুদ বলেন, “উদ্ভাবন ছাড়া আইসিটির অগ্রগতি অসম্ভব। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা দেশের আইসিটি শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। ”
দশ বছর আগের তথ্য প্রযুক্তির হালচালের কথা স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, “তখন মানুষ মোবাইল অগ্রগতির এ বিষয়টি চিন্তাও করতে পারত না। কেননা, মোবাইল তখন সীমিত ছিল কেবল ধনীদের মাঝে। কিন্তু পৃথিবী আজ একটা বৈশ্বিক গ্রামে পরিণত হয়েছে। মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা বিবেচনায় পৃথিবীর মধ্যে একাদশ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। আগামীতে এ সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে আমি আশাবাদী। ”
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী আরও বলেন, “আমরা একটি মোবাইল বিপ্লবের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছি। আগামীতে আরও গতিশীল হবে এ প্রক্রিয়া। সরকারের স্বপ্ন অনুসারে আগামী ২০২১ সালের আগেই আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারব। ”
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলি বলেন, “একদিন মাত্র কয়েকটি কম্পিউটারের মধ্যেই সীমিত হয়ে পড়ে ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন। অথচ আজ মানুষের জীবনের প্রতি পরতে ছড়িয়ে পড়েছে কম্পিউটারের উপযোগিতা। ”
বাংলাদেশ সময় : ০২২৭ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৩
সম্পাদনা : হুসাইন আজাদ, নিউজরুম এডিটর