ভারতীয় বিজ্ঞানীরা ক্ষুদ্রাকৃতির অ্যান্টেনা উদ্ভাবন করেছে। প্রযুক্তিটি পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্রাকৃতির এমন দাবি করছে এর উদ্ভাবকরা।
ভারতের মেসরার বিড়লা ইন্সটিটিউট অব টেকনোলোজি’র শিক্ষাব্যবস্থাপনা সদস্য প্রফেসর শ্রীকান্ত পাল এবং তার গবেষণাকর্মের সহযোগী স্কলার ম্রিনময় চক্রবর্তী মিলে অ্যান্টেনাটি উদ্ভাবন করেছে। প্রযুক্তিটির বিশেষত্ব সম্পর্কে তারা বলেন এটি পৃথিবীর সবচেয়ে চমকপ্রদ, শক্তিক্ষম অধিক-সম্প্রসারিত ব্যান্ড পরিকল্পক যা বিভিন্ন ডোমেইনের মধ্যে থেকে আবাসস্থল এবং মেলেটারি অ্যাপলিকেশন খুঁজতে সক্ষম।
এই(ইউডব্লিউবি) প্রযুক্তি সুবিশাল ডাটা নিয়ে ওয়্যারলেস কমিউনিকেশনের গতিশীল অবস্থা নিয়ে আসছে। আরও বলা হয় ওয়্যারলেস পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্কস (ডব্লিউপেনস) পরিকল্পনায় নিয়ে স্বল্প বিস্তারণের পরিকল্পনা হয়েছে। বিআইটি-মেসরার পিএইচডি শিক্ষার্থী বলেন আমাদের এ উদ্ভাবনার উচ্চতা ১১ মিমি. এবং চওড়া ১৪ মিমি. যা বিশ্বের সবচেয়ে নুন্যতম আকার এবং সীমাতিরিক্ত ব্যান্ডউইথ মাত্রা ১০:১ এর চেয়ে বেশি।
মূলত তার থেকে মানুষকে মুক্ত করা এবং আকৃতি হ্রাস করা এ পরিকল্পনার অভীষ্ট লক্ষ্য যাতে যেকোনো বক্র পৃষ্ঠে ছড়িয়ে যেতে পারে। এছাড়া দামেও এটি স্বস্তা। এতে ব্যবহৃত উপাদানের মধ্যে আছে কমদামি উন্নয়নকৃত ফাইবার প্লাস্টিক।
প্রসঙ্গত, পল যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম ইউনিভার্সিটিতে ২০১০ থেকে ২০১৪ সালের জন্য রেডিও জ্যোতিবিজ্ঞানী বিষয়ক গবেষণাকর্মের সঙ্গে আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, ০৮ এপ্রিল, ২০১৩