গত ১৪ মার্চ নিউইয়র্কে গ্যালাক্সি এস ফোরের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ হয় সেই সময় কোরিয়ান নির্মাতা এর বিপুল সংখ্যক ইউনিট সরবরাহের ব্যবস্থা রেখেছিল। এসফোর (জিটি-১৯৫০০) মডেলটি এখন ধীরে ধীরে অন্যসব বাজারগুলোও পেতে যাচ্ছে।
তথ্য সুত্র জানিয়েছে ২৫ এপ্রিল ভারতে প্রকাশের সার্বিক প্রস্তুতি শেষ। এছাড়া অবশিষ্ট বাজারগুলোতে অনার পদক্ষেপও নিয়েছে নির্মাতা।
আইবিএনলাইভ তাদের তথ্য মাধ্যমগুলো থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দাবি করছে ২৭ এপ্রিল থেকে খুচরা পর্যায়ে বিক্রি শুরু হবে এসফোরের। দাম ৪২ হাজার রুপি হলেও বিক্রি হবে ৪০ হাজার রুপিতে।
অবশ্য আগাম অর্ডারে এখন ইবে.ইন, নেপটলের মতো ই-কমার্স সাইটগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে ।
এদিকে স্যামসাং’র মিডিয়া প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা দেখিয়েছে।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যমই গ্যালাক্সি এস ফোর প্রকাশের লাইভ কাভার করেছিল। যা থেকেই বেশিরভাগ নিশ্চিত তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু নতুন পণ্যটি নতুন কি পেয়েছে তা সমালোচিত বলা হচ্ছে এসথ্রি এবং নোটটু’র চেহারা বাদ যায়নি এতে এছাড়া একই হার্ডওয়্যার হোম বাটনটি রয়ে গেছে।
নতুন স্মার্টফোনের কয়েকটি হার্ডওয়্যার ভার্সনে আছে স্যামসাং’র ইক্সিনস ৫৪১০ “অক্টা” চিপসেটে ৮ কোর, ১.৬ গিগাহার্জে ফোর করটেক্স-এ১৫ কোর এবং ১.২ গিগাহার্জে ফোর করটেক্স-এসেভেন কোর। এর ২৬০০ এমএএইচ ব্যাটারি ২৫ শতাংশ বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন গ্যালাক্সি এসথ্রি’র তুলনায়। অন্যান্য প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্যগুলো- ডিডিআরথ্রি ২ জিবি ৠাম, ১৬ জিবি বিল্টইনসহ মেমোরি বাড়ানোর সুবিধা, ১৩ এমপি মুল ক্যামেরা, ২ এমপি ফ্রন্ট ক্যামেরা, ওজন ১৩০ গ্রাম এবং কালো ও সাদা দুটি রঙে পাওয়া যাচ্ছে এসফোর।
আরও বিতর্কিত হয়েছে নির্মাতার দাবি করা হালকা, চিকন, আর নিরেট গঠন গুণাবলীর বিষয়গুলো কারণ সমালোচকদের মতে এটি এসথ্রি থেকে নামেমাত্র হালকা এবং পণ্যটি দেখেই মনে হয় অবিকল “প্লাস্টিকি” দারা নির্মিত। যেহেতু কোরিয়ান নির্মাতা আগের বৈশিষ্ট্যগুলো ছাড়েনি তাই গ্রাহকদের কাছে গ্যালাক্সি পণ্যটি হবে চিরচেনা বলে ধারণা করছে অনেকে।
বাংলাদেশ সময়: ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৩